নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এদিন পিডিবির বাল্ক মূল্যহার ও পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১ ডিসেম্বর পিডিবির পাশাপাশি নেসকোর (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) খুচরা মূল্যহারের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) ও ডেসকো (ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি) প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত মাসেই এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জমা দিয়েছে প্রতিটি সংস্থা ও কোম্পানি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন মুনাফা থাকলেও বিদ্যুতের বাল্ক মূল্যহার বৃদ্ধি হলে বিতরণকারী সংস্থা ও কোম্পানিগুলো লোকসানের মুখে পড়বে। তাই বাল্ক মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহকৃত খুচরা বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে নতুন মূল্যহার কার্যকরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পিডিবির বাল্ক মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ও সরবরাহের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর জুলাইয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এ হার ৪১ শতাংশ। এতে ২০২০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়বে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এছাড়া গত জুলাইয়ে কয়লার ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তরল জ্বালানিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।