বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নতুন গাড়ি কিনতে গেলে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগে। একটি নতুন গবেষণা রিপোর্ট এ নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে।
এনার্জি অ্যান্ড ইনোভেশন পলিসি অ্যান্ড টেকনোলজি এলএলসি’র ২০২৪ সালের রিপোর্টে এই তুলনা করা হয়েছে। রিপোর্টটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হলেও বাংলাদেশের জন্য এর প্রাসঙ্গিকতা অনেকখানি।
ইলেকট্রিক গাড়িতে চার্জিং খরচ কেমন?
ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করতে পেট্রোল গাড়ির জ্বালানি খরচের চেয়ে কম খরচ হয়। একটি টয়োটা ক্যামরির জ্বালানি খরচের তুলনায় ইভি গাড়িতে গড়ে ২৫ ডলার সাশ্রয় হয়। ফোর্ড F-150 ট্রাকের ক্ষেত্রে এই সাশ্রয় হয় ৩৫ ডলার।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম পেট্রোল-ডিজেলের চেয়ে স্থিতিশীল। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানির দাম ওঠানামা করলেও বিদ্যুতের দাম তেমন পরিবর্তন হয় না। এটি ইলেকট্রিক গাড়ি মালিকদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
রক্ষণাবেক্ষণে ইলেকট্রিক গাড়ির সাশ্রয়
ইলেকট্রিক গাড়িতে চলন্ত যন্ত্রাংশ কম থাকে। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কম হয়। নিয়মিত তেল পরিবর্তন বা ইঞ্জিন সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ে না। এটি দীর্ঘমেয়াদে অনেক খরচ বাঁচায়।
তবে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বিশেষায়িত সার্ভিস সেন্টার কম। কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। এটি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিস্থিতি দ্রুত হচ্ছে।
গ্যাসoline গাড়ি কখন সস্তা?
ইলেকট্রিক গাড়ির প্রাথমিক ক্রয়মূল্য এখনও বেশি। কেলি ব্লু বুকের ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, গড়ে ইভি গাড়ির দাম ৫৫,৬৮৯ ডলার। পেট্রোল গাড়ির গড় দাম ৪৮,৮৪১ ডলার। বাংলাদেশে এই ব্যবধান আরও বেশি।
বিমা খরচও ইলেকট্রিক গাড়িতে কিছুটা বেশি। দেশে ইভি চার্জিং স্টেশন ও মেরামত কেন্দ্র কম থাকায় বিমা কোম্পানিগুলো বেশি প্রিমিয়াম ধার্য করে। তবে সময়ের সাথে সাথে এই খরচ কমছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত
ইলেকট্রিক গাড়ি দীর্ঘমেয়াদে খরচ সাশ্রয়ের দিক থেকে এগিয়ে। জ্বালানি খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম হওয়ায় প্রাথমিক উচ্চ বিনিয়োগ কাটিয়ে উঠা যায়। সরকারও ইভি গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। তাই পরিবারিক ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি একটি লাভজনক বিনিয়োগ হতে পারে।
জেনে রাখুন-
Q1: ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করতে কত সময় লাগে?
দ্রুত চার্জারে ৩০-৪০ মিনিটে ৮০% চার্জ হয়। সাধারণ চার্জারে ৬-৮ ঘন্টা সময় লাগে।
Q2: বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন কতটি?
বর্তমানে ১০০+ চার্জিং স্টেশন aktif আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০+ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।
Q3: ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি কতদিন স্থায়ী হয়?
গড়ে ৮-১০ বছর বা ১,৬০,০০০-২,০০,০০০ কিমি পর্যন্ত ব্যাটারি ভালো থাকে।
Q4: বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির মডেল
নিসান লিফ, হুন্ডাই আইনিক, টেসলা মডেল ৩, ও BYD-এর বিভিন্ন মডেল পাওয়া যায়।
Q5: ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য সরকারি সুবিধা
ইভি গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড়, নিবন্ধন ফি waiver এবং low-interest লোনের সুবিধা আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।