দেশে কোন প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা এবং ব্যবসার উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে নিজেদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তার কথা ব্যক্ত করেছেন দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। নীতির ক্ষেত্রে তেমন কোন ধারাবাহিকতা না থাকা এবং অতিরিক্ত করের বোঝা থাকার কারণে ব্যবসার পরিবেশ তেমন নেই। আমেরিকান চেম্বার অব বাংলাদেশ আয়োজিত একটি সভায় এ ধরনের কথা ব্যক্ত করে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারও গত ৫ মাসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি বলে মত ব্যবসায়ীদের। অ্যামচেম আয়োজিত সেমিনারে তারা অভিযোগ করেন, এনবিআর–বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি সংস্থাগুলো এখনও হয়রানি মুক্ত হয়নি।
মেটলাইফ এলিকোর প্রধান নির্বাহী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকেই এদেশে ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। কেউ কেউ নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করছে, ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা কমাচ্ছে। আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবেও বিশ্ব বাণিজ্যের গতি প্রকৃতি বদলে যাবে।’
এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী দেশগুলো সহজে ব্যবসার সুচকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু এখানে সরকার রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এনবিআরের উচিৎ বিনিয়োগবান্ধব নীতি নেওয়া। যা কর্মসংস্থান বাড়াবে, অর্থনীতিও লাভবান হবে।’
সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনও জানান, এখনো বাজেট, মুদ্রানীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিতে বাণিজ্য সম্প্রসারণকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিডার মত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলো স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে, এমন সংস্কার এখনও হয়নি। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাণিজ্যের সম্ভবনা কাজে লাগানোর পরিবর্তে সরকার যেন বিদেশি ঋণের পেছনেই ছুটছে।’
বিশ্লেষণ করা হয় যে, অর্থনীতি ভালো জায়গায় নিয়ে আসার জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে সরকার মনে করে যে, বাণিজ্য খাতে হতাশাজনক পরিস্থিতির জন্য আগের সরকার দায়ী । অর্থ উপদেষ্টা বলেন যে, অর্থ লুটপাট করা না হলে পরিস্থিতি ভালো থাকতো। বর্তমান সরকারকে বেহাল অবস্থার মধ্যেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।