মানুষের ক্রিয়াকলাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক প্রজাতি হুমকির মধ্যে রয়েছে। মান্তা রে বা মোবুলা বিরোস্ট্রিস এমন এক প্রজাতি যারা বিপন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করা হয়েছিলো। ইকুয়েডরের উপকূলে ২২ হাজারেরও বেশি মহাসাগরীয় মোবুলা বিরোস্ট্রিস দলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, পরিবেশের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা নিজেদের খুব ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণার থেকেও এ প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশি। ইকুয়েডরের তীরে তাদের জনসংখ্যা এত বেশি হবে কেউ ভাবতে পারেনি। ২০১৯ সালে, সামুদ্রিক মান্তা রে মাছকে IUCN রেড লিস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রতিষ্ঠানটি বিপন্ন প্রায় প্রজাতি হিসাবে মান্তা রেকে পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ করেছিলো।
বাণিজ্যিকভাবে এ মাছ যেনো ধরা না হয় সে ব্যবস্থাও করা হয়। ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিদ জোশুয়া স্টুয়ার্ট বলেছেন, “এটা স্পষ্ট যে এখানে ভিন্ন কিছু ঘটছে।” এটি সমুদ্রের প্রাণিকূলের ইতিহাসে এটি একটি বিরল গল্প। অন্যান্য অঞ্চলে এ সামুদ্রিক প্রাণীর জনসংখ্যা সাধারণত ১ হাজার থেকে ২ হাজার অনুমান করা হয়েছে। “
যদিও এটা স্পষ্ট যে সামুদ্রিক মান্তা রে দুর্বল প্রজাতির, তবে এই প্রাণীদের অধ্যয়ন করা এবং পর্যবেক্ষণ করা সহজ নয়। তারা উপকূলে অনেক সময় নিয়ে অবস্থান করে এবং তাদের চলাফেরার ধরণ আমাদের চিন্তার সাথে মিলে না। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিক থেকে, বিজ্ঞানীরা ইকুয়েডরের উপকূলের এই বিশেষ গ্রুপ মান্তা রের উপর নজর রাখছেন। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গবেষকরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তোলা ফটো পর্যবেক্ষণ করে আসছেন।
“আমাদের গবেষণায় ব্যবহৃত ফটোগুলির ট্যুরে ঘুরতে আসা ডুবুরিদের দ্বারা তোলা হয়েছিল। তারা নাগরিক বিজ্ঞানী হিসেবে অবদান রেখেছেন। তারা এ বিশেষ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর অনেক ছবি তোলেন,” বলেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য মন্ত্র ট্রাস্টের সামুদ্রিক গবেষক কানিনা হার্টি৷ “আমরা এই ফটোগ্রাফগুলি থেকে প্রতিটি প্রাণী সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাই।” গবেষণাটি মেরিন ইকোলজি প্রগ্রেস সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।