কক্সবাজার প্রতিনিধি: শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও কক্সবাজারে কেউ তা মানছে না। প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এই মাছ। এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় এই মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শাপলাপাতা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম “স্টিংরে ফিস”। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আই ইউ সিএন) কর্তৃক শাপলাপাতা মাছকে বিপন্ন প্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মাছের বিচরণ ক্ষেত্রগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কথা বলছে মৎস্য বিভাগ।
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘কক্সবাজার উপকূলের জেলেদের হাতে যেভাবে শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ছে এবং বিক্রি হচ্ছে তাতে এটি চরম হুমকির সম্মুখীন। এই মাছ রক্ষায় জেলেদের মাঝে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে আবদুল আমিন নামের এক জেলের বড়শিতে ধরা বুধবার রাতে পড়েছে ১৩০ কেজি ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ। পরে মাছটি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ২০ হাজার টাকা মণ দরে জেলের কাছ থেকে এই মাছটি ক্রয় করেন নুর মোহাম্মদ নামের টেকনাফের এক মাছ ব্যবসায়ী।
জেলে আবদুল আমিন জানান, শাপলাপাতা ধরা নিষিদ্ধ এটা আমার জানা ছিল। কোথাও কখনো শুনিনি। তাই সচেতনতার অভাবে এই মাছ ধরা হয়। আজকের পর থেকে এই মাছ ধরা হবেনা।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এ প্রজাতির মাছ সমুদ্রের অগভীর তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলা পাতা মাছ ধরা ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। জেলেদের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এ মাছ না ধরার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।