জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলে ঝিনাই ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আজ সোমবার ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রবল স্রোতে ভূঞাপুরের কয়ড়া কাচা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের লোকজন। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর, হাট-বাজার ও ফসলি জমি। বন্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে ভূঞাপুরের যমুনার চরাঞ্চলসহ কৃষকের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এনিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কার্যালয় জানিয়েছে, চলমান বন্যায় অর্জিত ৮৯০ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে তলিয়ে ও পচে গেছে ৫৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত পাট ২ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত ১ হাজার ৬১০ হেক্টর তিলের মধ্যে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর, অর্জিত ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ও অর্জিত ৫১০ হেক্টর বোনা আমনের মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর জমির ফসল।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বন্যার পানিতে ভাসছে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র, নৌকায় চড়ে যাচ্ছে পরীক্ষার্থী
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.