বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে : তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম আশা প্রকাশ করেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আগামী পাঁচ বছরে তারা আরও বেশি হারে বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হবেন।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে উইমেন ইন ডেমোক্রেসি (উইন্ড) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র বিনির্মাণে নারী: আমরা কি পেলাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, “নারীরা হারিয়ে যায়নি। অনেকেই বিদেশে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকেই একাডেমিয়ার মাধ্যমে ফিরে এসে রাজনৈতিকভাবে অবদান রাখবে।”

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক সেটেলমেন্ট পরিবর্তন না হলে কোনো নীতি বাস্তবভাবে কার্যকর হবে না। নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি ধর্ম, ঐতিহ্য, আইনি কাঠামো ও আধুনিকতার মিলনস্থলে অত্যন্ত জটিল। তাই সামাজিক সমঝোতার পথ তৈরি করতে হবে।”

মাহফুজ আলম জানান, “বাংলাদেশের নারীর ইতিহাস ১৫০ বছরের ধারাবাহিক এক ট্রাজেক্টরি; এটি অনুধাবন ছাড়া নারীসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নারী ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে দেশের গণতান্ত্রিক বিকাশকে আরও সুদৃঢ় করবে।

উপদেষ্টা বলেন, নীতি বাস্তবায়ন শুধু সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে হবে। দরকার হলো রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খোলা স্পেস নিশ্চিত করা, যাতে তারা নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অংশ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ও ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রোখসানা খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাহেদুর রহমান, প্রফেসর তাসলিমা মির্জা, প্রফেসর সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক ড. নাহরিন আই খান, মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।