জুমবাংলা ডেস্ক: বিমানবন্দরে তল্লাশির সময় পোশাকের চালানে কোকেনসদৃশ এমফিটামিন নামের বিপুল পরিমাণ নতুন মাদক আটক করা হয়।
গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোশাকের চালানের আড়ালে কোকেনসদৃশ ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম এমফিটামিন আটক করা হয়। নতুন এ মাদকের আনুমানিক মূল্য ২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় রপ্তানি পোশাকের চালানে কোকেনসদৃশ মাদক আটক করে এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা। পরে, তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় পাঠানো হয়। এরপর, নিশ্চিত হওয়া যায় নতুন এ মাদকের নাম এমফিটামিন।
এ ঘটনায় আটক করা হয় ৬ জনকে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে রপ্তানি কার্গোর সাথে এমফিটামিন জাতীয় মাদক পাচার হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। একটি বিদেশি কুরিয়ারের মাধ্যমে আটক হওয়া মাদক বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হংকং হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। তবে, কারা এসব মাদক রপ্তানি করছিল তা তদন্তের স্বার্থে বলা হয়নি। এই মাদক দিয়ে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান জানান, কার্টনগুলোর ভেতরে থাকা কাপড়ে বিশেষ একটি স্তর তৈরি করে মাদকগুলো পলিথিনের প্যাকেটে রাখা হয়েছিল। এছাড়া তার বাইরে একটি কার্বনেট আবরণ দেয়া ছিল। বিমানবন্দরের ই-স্কিনিং সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে এই কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।