আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দেশটির বিরোধী দলগুলোর আরও ১১ নেতাকে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

শনিবার রাহুল গান্ধী শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালেও তাদের সেখান থেকেই দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেয় কাশ্মীরের পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ফিরতি ফ্লাইটে রাহুল গান্ধীকে পেয়ে বিমানের ভেতরেই কেঁদে ফেলেন এক কাশ্মীরি নারী।
কান্নারত কণ্ঠে তিনি জুম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করেন।
রোববার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেই ঘটনার একটি ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের ভেতরেই কাশ্মীরিদের ওপর চলমান দমন-নিপীড়নের বর্ণনা দিচ্ছেন এক কাশ্মীরি নারী। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীরিদের ভাগ্যে যেসব দুর্দশা জুটছে এবং ১৪৪ ধারা জারির পর কি ধরণের পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাদের সেসব ঘটনা রাহুলকে শোনাচ্ছেন ওই মধ্যবয়সী কাশ্মীরি নারী।
সাবেক কংগ্রেস সভাপতিকে ওই নারী বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েকে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না। আমার ভাই হৃদরোগাক্রান্ত। ১০ দিন ধরে তিনি ডাক্তার দেখাতে পারেননি। আমরা খুব বিপদে আছি।’
এই কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নারী। এসময় রাহুলকে ওই নারীর প্রতি সহমর্মিতা ও সান্ত্বনা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এর আগে শনিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে রাহুলদের আটকে দেয়ার পর সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ভাইরাল সেসব ভিডিওর একটিতে দেখা গেছে পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাহুল বলছেন, ‘সরকারের আমন্ত্রণে আমরা এসেছি কাশ্মীরে। এখন আপনারা বলছেন যেতে দেয়া হবে না। সরকার বলছে, সব কিছু স্বাভাবিক। সব যদি স্বাভাবিকই থাকে, তাহলে আমাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না কেন? ’
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের উপর কিছু শর্ত আরোপ করে বিবৃতি দেন।
শনিবারের ওই সফলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সর্বদলীয় প্রতিনিধির মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই(এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে’র সদস্যরাও ছিলেন।
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মাও গিয়েছিলেন রাহুলের সঙ্গে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



