জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরে মেহেদির রং শুকানোর আগেই স্বামীর সাথে ফিরনিতে এসে আত্মহত্যা করেছে কেয়া খাতুন (১৯) নামে এক নববধূ।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে বিয়ের তিন দিনের মাথায় নাটোর সদর উপজেলার মাটিকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেয়া খাতুন নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়া মডেল কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং একই উপজেলার রায় হালসা গ্রামের ওমান প্রবাসী করম আলীর মেয়ে।
গ্রামের লোকজন বলছেন, কেয়ার বিয়েতে মত ছিলনা তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে। ফিরনিতে এসে স্বামীর সাথে কোন ভাবেই যেতে চাইছিলানা কিন্তু তার মামা সেলিম মেম্বরসহ অন্যরা জোর করে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও কেয়া খাতুনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার কেয়ার মতামত ছারাই পারিবারিক ভাবে পাশের গ্রাম মাটিকোপার বাসিন্দা মৃত্য মজিবরের ছেলে রাসুর সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। শুক্রবার বৌ ভাতের পর কেয়া খাতুন. ফিরনিতে আসে বাবার বাড়ি রায় হালসা গ্রামে। সেখান থেকে ফিরে যেতে না চাইলেও জোর করে তাকে স্বামীর সাথে পাঠানো হয় শ্বশুর বাড়িতে। ওই রাতেই স্বামীর সাথে ফিরনিতে ফিরে কীটনাশক সেবন করে রাত সারে ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে শনিবার দিনগত রাতে তার চাচা কামরুল ইসলামের ফোনে কেয়ার অসুস্থতার খবর দেয়ার হয়।
এসময় তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে পিটিআই নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেই বিষয়টি আমরা জানার চেষ্টা করছি। কোন অভিযোগ পেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।