আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাজনা বাজিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন পাত্র। পাত্রীও হাজির হন মঞ্চে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ পাত্রী লক্ষ্য করলেন, তাঁর বরের মুখ থেকে মদের গন্ধ আসছে। তখনও পর্যন্ত তিনি কিছু বলেননি। এরপর পাত্রী দেখতে পান হবু বর মঞ্চের পিছনে চলে গিয়েছেন। বিয়ের আসরের মাঝে হঠাৎ পর্দার পিছনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল কেন, সেটাই ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে পাত্রীও তাঁর পিছু নেন। পিছনে গিয়ে তিনি দেখেন গাঁজা টানছে পাত্র। এরপরই পাত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। সবার সামনে এসে জানিয়ে দিলেন বিয়ে করবেন না। তিনি জানান, যে ব্যক্তি এমন খারাপ জিনিস সেবন করেন, তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে পারবেন না তিনি। একথা শুনে বর-কনে উভয় পক্ষের লোকজনই হতবাক হয়ে যায়। পাত্রী জানান, বর সম্পূর্ণ মাতাল, এমন মাদকাসক্ত যুবককে বিয়ে করতে পারবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশের ফতুপুর এলাকার ঘটনা।
এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর কনে পক্ষের লোকজন বিয়েতে খরচ করা আট লক্ষ টাকা ফেরতে দাবি জানাতে শুরু করেন। তখন কেউ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে সমঝোতার পরামর্শ দেয়। পরে বিয়ে না করেই আসর ছাড়তে হয় পাত্রকে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিংকি নামে ওই পাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল জৌনপুর জেলার জয়রামপুরের বাসিন্দা গৌতমের সঙ্গে। বর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মঞ্চ থেকে গালিগালাজ করছিলেন, তারপরই গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।