দিনের বেলায় নেমে এল ঘুটঘুটে অন্ধকার। ৮ এপ্রিল এক বিস্ময়কর সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা মিলল এই বিস্ময়কর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের। এই সূর্যগ্রহণকে গ্রেট নর্থ অ্যামেরিকান এক্লিপসও বলা হচ্ছে। সোমবার এই তিন দেশের লাখ লাখ মানুষ সরাসরি এ মহাজাগতিক দৃশ্য দেখেছেন।
বিরল এ দৃশ্যের লাইভ সম্প্রচার করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইউটিউব চ্যানেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে পূর্ণ সূর্যগ্রহনের বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করেছে নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে মহাজগতিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। গ্রহণের সময় যে অন্ধকার নিয়ে আসে তা ক্যামেরায় বন্দী করা গিয়েছে।
চাঁদ সূর্যকে ঢেকে দেওয়ার ঠিক আগের সময় একটি বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দী করা হয়। তখনো সূর্যের নিচের কিছুটা অংশ অদৃশ্যমান হয়েছিল যা নাসা বুঝতে পারে। বিষয়টি আন্টির উপর বসানোর ঝকঝকে হীরার মত দেখা যায়। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সূর্যগ্রহণের অনেক দুর্দান্ত ছবি তুলেছেন।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মহাকাশ থেকে বেশ কিছু ছবি তুলেছে। আগে কানাডায় এ ধরনের সূর্যগ্রহন দেখা যায় ১৯৭৯ সালে। ওই দিনটি ছিল 26 ফেব্রুয়ারি। মেক্সিকোতে এরকম সূর্য গ্রহণ দেখা যায় ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই। বিশাল মহাকাশের বিশাল সূর্য ও চাঁদের তুলনায় আমরা যে কত ক্ষুদ্র তা আরো একবার প্রমাণ করে দিল এ মহাজাগতিক ঘটনা।
গ্রহণের আশ্চর্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল আবহাওয়া পরিবর্তন করার সক্ষমতা। যখন চাঁদ, সূর্যের সামনে আসে এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে ছায়া ফেলে তখন তাপমাত্রা, বাতাসের গতি এবং আদ্রতার পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে তাপমাত্রা প্রায় দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তোলা বিভিন্ন ছবি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।