জুমবাংলা ডেস্ক: একসময় গ্রামগঞ্জের তাল, নারকেল ও খেজুরগাছে পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধত। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভাঙত না। গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। তবে এখন আর তেমন চোখে পড়ে না এই পাখি। বাসস্থানসংকট ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি।
টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, সাচড়া ইউনিয়নের মমিন ও আবুল কালাম জানান, এক সময় এলাকায় অনেক তাল ও খেজুরগাছ ছিল। তখন প্রচুর পরিমাণ বাবুই পাখি এসে বাসা বাঁধত। তাল ও খেজুরগাছ বিপন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসস্থান সংকটের কারণে বাবুই পাখি বিলুপ্তপ্রায়।
সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান নীল কমল জানান, বাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সঙ্গী বানানোর জন্য নানাভাবে ভাব-ভালোবাসা নিবেদন করে। বাসা পছন্দ হলে কেবল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই মনের আনন্দে শিল্পসম্মত ও নিপুণভাবে বাসা তৈরির কাজ শেষ করে। বাংলাদেশে মাত্র তিন প্রজাতির বাবুই পাখির দেখা মেলে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ, এম শামীম বলেন, দেশি বাবুইকে ফসলেতে দেখা যায়। ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড়ই তার প্রধান খাদ্য। বাবুই পাখি কৃষকের ক্ষতির চেয়ে উপকার অনেক বেশি করে।
ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা কে, এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে অনেক প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য প্রজাতির পশু, পাখি, কীট-পতঙ্গ আমাদের পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। অনেকগুলো বিলুপ্তির পথে। বাবুই পাখিও এখন আর তেমন দেখা যায় না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।