বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ তালিকা থেকে একটি বিশাল গ্রহাণু এই মাসের শেষের দিকে পৃথিবী অতিক্রম করবে। যা নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের আড়াই গুণ লম্বা। যার আনুমানিক ব্যাস কমপক্ষে এক কিলোমিটার। এটি আমাদের গ্রহে আঘাত করলে বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় ঘটে যাবে। তবে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৯৮ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আমাদের গ্রহ এবং চাঁদের মধ্যকার দূরত্বের প্রায় পাঁচগুণ।
এটি পৃথিবীর চেয়ে বৃহত্তর কক্ষপথ সহ একটি অ্যাপোলো-শ্রেণীর গ্রহাণু। অস্ট্রেলিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ম্যাকনট ১৯৯৪ সালে এটি আবিষ্কার করেন। এটি এক বছর সাত মাসে সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসে।
সূর্যকে প্রদক্ষিণকারী এই গ্রহাণূকে প্রতি ৪৭ বছর পর পর সবচেয়ে সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েই দেখা যায়। তবে পরের বার এটি পৃথিবীর এতো কাছাকাছি আসবে ২১০৫ সাল নাগাদ।
যারা স্টারগেজিংয়ের কথা ভাবছেন তাদের জন্য, এটি প্রতি সেকেন্ডে ১৯.৫৬ কিলোমিটার (ঘন্টায় ৭০৫১৫ কিলোমিটার) বেগে ভ্রমণ করবে এবং রাতের আকাশ জুড়ে একটি শুটিং তারার মতো দেখতে হবে।
তবে আমরা পৃথিবীবাসীরা আপাতত নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। কারণ নাসার সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুসারে মহাকাশ থেকে আসা বড় ধরনের কোনো গ্রহাণু বা পাথরের সঙ্গে আমাদের পৃথিবীর আগামী অন্তত আরও ১০০ বছর কোনো সংঘর্ষ হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।