বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মানবসমাজ নির্মূল করার মতো না হলেও আজ থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার বছর আগে বিশাল একটি গ্রহাণুর পাথর ও ধূমকেতুর টুকরোর আঘাতে পৃথিবী থেকে ডায়নোসর হারিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের দাবি, এর আশঙ্কা এক’শ ভাগ। এ ব্যপারে বিজ্ঞানীরা এক্সপ্রেস কোং ইউকে-কে বলেন, পৃথিবীর কোনো একস্থানে তা আঘাত করবে এবং এর জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।
নাসা জানায়, কয়েক মিলিয়ন বছর পর পর এরকমটা ঘটে। সংশ্লিষ্টরা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত খাকতে হবে। মহাকাশ দেশ (স্পেস নেশন) আসগার্ডিয়া পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান লেমবিট ওপিক এক্সপ্রেস. কোং. ইউকে-কে বলেন, বিশ্বকে অ্যাস্টরয়েডের আঘাত থেকে রক্ষা করা তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, এটা জীবন-মরণের বিষয়। আঘাত হানার আশঙ্কা শতভাগ হলেও তা কখন ঘটবে তা জানেনা কেউ। ১৯৯৮-২০১০ সাল পর্যন্ত ওয়েলসের মন্টগোমারিশায়ারের এমপি ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ মহাকাশজাত হুমকি বিষয়ে আরো সতর্কতা সৃষ্টির জন্য পার্লামেন্টে প্রচারণা চালান। ১৯৯৯ সালে তিনি অ্যাস্টরয়েড বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখার জন্য বার্ষিক ৫ লাখ পাউন্ড থেকে ১০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ২০০০ সালে ওপিক নিকটবর্তী বিশ্ব বস্তু (নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট) টাস্ক গ্রুপ চালুর জন্য সরকারকে সম্মত করেন। গ্রুপটি ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে কাছের ও দূরের উভয় ধরনের অ্যাস্টরয়েড বা তথাকথিত নিকটবর্তী বিশ্ব বস্তুর (এন ই ও) জরিপের আহ্বান জানানো হয়।
ওপিকের পিতামহ একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি তার সময়ে গ্রহাণু সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে অনেক কাজ করেন। বর্তমানে ওপিক মহাকাশ থেকে পরিহার অযোগ্য বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রথম মহাকাশ দেশের সাথে কাজ করছেন। ওপিক বলেন, এ রকম ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু যখন তা ঘটে তখন তা বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এটা সকল ধরনের প্রাণীর ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ বিলুপ্তির কারণ। তিনি বলেন, অ্যাসগার্ডিয়ার অন্যতম প্রধান মিশন লক্ষ্য হচ্ছে মহাজাগতিক হুমকি থেকে আমাদের বাসস্থান পৃথিবী নামক গ্রহকে রক্ষার জন্য এক ধরনের মহাকাশ রক্ষীর সৃষ্টি করা।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা বলেছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে বিস্ফোরিত বস্তুটির আকারের ন্যায় বস্তু (প্রায় ৫৫ ফুট) বিস্ফোরণের ঘটনা ১০০ বছরে ১ বা ২ বার ঘটে। তবে এনইও ক্যাটালগের বর্তমান অসম্পূর্ণতার প্রেক্ষিতে চেলিয়াবিনস্ক ঘটনার মতো একটি ঘটনা যে কোনো সময় সংঘটিত হতে পারে। ২০১৯ সালের শুরুতে নাসা বলেছিলো, আবিষ্কৃত এনইওর সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি এবং প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০টি করে মহাকাশের নতুন পাথর আবিষ্কৃত হচ্ছে।
মহাকাশ রাষ্ট্রের চেষ্টা পৃথিবীর বাইরে গর্ভধারণ
মহাকাশ দেশ (স্পেস নেশন) আসগার্ডিয়া পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান লেমবিট ওপিক বলেছেন, অ্যাসগার্ডিয়া মহাকাশ রাষ্ট্র হচ্ছে পৃথিবীর কক্ষপথে একটি উপগ্রহ নিক্ষেপের মাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেশ বা মাইক্রোনেশন। মহাকাশে একটি ফাঁড়ি নির্মাণের মাধ্যমে মানুষের স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং পৃথিবীর বাইরে প্রথম শিশুর গর্ভধারণ করা এই মহাকাশ রাষ্ট্রের লক্ষ্য।
ওপিক এর আগে এক্সপ্রেস. কোং. ইউকে-কে বলেন, অ্যাসগার্ডিয়া আগামী ২৫ বছরের মধ্যে মহাকাশে মানুষের বসবাস করানোর আশা করছে। কিন্তু এই উচ্চাশা অর্জনে অ্যাসগার্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের প্রমাণ করতে হবে যে মহাকাশ-ভীত মানুষদের অ্যাস্টরয়েডের মত হুমকি থেকে নিরাপদ রাখা যাবে।
ওপিক বলেন, মহাকাশে শুধু অ্যাস্টেরয়েড একমাত্র হুমকি নয়। কিন্তু তারা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও তাদের দেখা সহজ। তবে স্বস্তির কথা যে নাসার মত মহাকাশ সংস্থাগুলো নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের কোনো হুমকি আশঙ্কা করছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।