জুমবাংলা ডেস্ক: চিহ্নিত বাড়িতে গিয়ে আগ্নেয় অস্ত্রসহ ডাকাতি এবং ওই বাড়ির তরুণীদের অসৎ উদ্দ্যেশে খোঁজ খবর নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। তার এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হয়। এর পর জেলা যুবলীগের নির্দেশে উপজেলা যুবলীগ ওই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও বহিস্কারাদেশ থেকে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা আচারগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ঝুন্টু। তিনি একই ইউনিয়নের উদং বড়বাড়ি গ্রামের আবুল কাসেম মিয়ার ছেলে। গত ৪ ও ৫ অক্টোবর তার দুইটি ফোনালাপ ‘আচারগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ’ নামের একটি আইডিতে প্রকাশ করা হয়। ফোনালাপে শোনা যায়, যুবলীগ নেতার ঝুন্টুর সাথে কথা হয় এক ব্যক্তির। ব্যক্তিটি তাকে চাচা বলে সম্বোধন করে বলে, ‘চাচা একটা বাড়িতে মিশনে যাইতাম।’ যুবলীগ নেতা ঝুন্টু জানতে চায় কইনো (কোথায়)। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় নান্দাইল রোড। কি কাজ জানতে চাইলে বলা হয় ঘর এটাক করে স্বর্ণালঙ্কার, মালামাল ও মোবাইল নেওয়া। ঝুন্টু ফের জানতে চায় কোনো মেয়ে আছে কিনা। পরে বলা হয় চাচা আগ্নেয় অস্ত্র লাগবো। তোমার টা কই? ঝুন্টুর উত্তর এইডা তো আমার লগে। এবার ঝুন্টু জানতে চায় বাড়িটি কি আলাদা। আর কে কে যাবে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় নান্দাইল রোড ও মুশলী এলাকার ১০/১২ জন থাকবো।’
অপর দিকে অন্য আরেকটি ফোনালাপে শোনা যায় এক নারীর সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ নিয়ে। সেই সঙ্গে মাদকের কথাও উল্লেখ রয়েছে। দুইটি অডিও কথাবার্তা ফাঁস হওয়ার পর চলে আলোচনা সমালোচনা। এ অবস্থায় নান্দাইল উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামেন। পরে সিদ্ধান্ত হয় যুবলীগ সভাপতি ঝুন্টুকে বহিষ্কারের।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বাহার জানান, বেশ কয়েকদিন তদন্ত শেষে জানা যায়, ওই অডিওতে যার কথাবার্তা আছে তিনি আচারগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপিত আশরাফুল ইসলাম ঝুন্টু। তার বিভিন্ন কথাবর্তায় প্রমাণ হয়, সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত। এ অবস্থায় জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশ পেয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ঝুন্টু বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাকে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। তখন আমাকে দিয়ে এসব কথাবার্তা বলাতে বাধ্য করা হয়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করেছি।’ মোবাইল ফোনে কে আপনাকে চাচা ডাকলো জানতে চাইলে ঝুন্টু বলেন, তিনি হচ্ছেন আচারগাঁও ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে হৃদয়। কবে কথা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভবত ১৩/১৪ দিন আগে।
উল্লেখ্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নান্দাইল রোড এলাকার পাঁচ গয়েশপুর গ্রামে প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জুয়েলের বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়।
সূত্র: কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।