৯ মার্চ দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। মেগা টুর্নামেন্টটি এবার মাঠে গড়িয়েছিল ৮ বছর পর। যার আয়োজক পাকিস্তান হলেও, নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দুবাই ভারতের ম্যাচ আয়োজন করে। পুরো টুর্নামেন্টটি টিভি ও অনলাইনে দেখেছে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ। বিশেষ করে ভারতের অতিরিক্ত ২৩ শতাংশ মানুষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখেছে।
এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবমিলিয়ে ২৫০ বিলিয়ন মিনিট টিভিতে দেখেছে সমর্থকরা। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রীড়া চ্যানেল স্টার স্পোর্টসেরই ১৩৭ বিলিয়ন মিনিট এবং জিওহটস্টারে দেখেছে ১১০ বিলিয়ন মিনিট। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে ৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল অধিক মানুষ দেখেছে।
টিভিতে ফাইনাল ম্যাচটির ভিউআরশিপ পৌঁছায় ১২২ মিলিয়নে। এর বাইরে জিওহটস্টারে দেখা হয় ৬১ মিলিয়ন। যা ক্রিকেটের ডিজিটাল ভিউআরশিপের নতুন মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে আইসিসি। বিশ্বকাপের বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ টিভিতে দেখেছে। ওই সময় দর্শক ছিল ২৩০ মিলিয়ন এবং টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে ম্যাচটি দেখার সময় ৫৩ বিলিয়ন মিনিট।
এ ছাড়া দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটিও হয়েছিল দুবাইয়ে। স্বাভাবিকভাবেই গ্রুপপর্বের সেই ম্যাচেও বাড়তি নজর ছিল দর্শকদের। যা ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের দেখা ওয়ানডে ম্যাচগুলোর একটি। টিভিতে পাক-ভারতের রোমাঞ্চকর লড়াই দেখা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন মিনিট। যা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেই ম্যাচের ভিউআরশিপ ছিল ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিট। সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের কল্যাণে টেলিভিশন রেটিং অর্জন করেছে ১০.৮ শতাংশ বেশি। ২০৬ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি টিভিতে সরাসরি খেলা দেখেছে।
টেলিভিশনের এই উচ্চ রেটিংয়ে সন্তুষ্ট আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ‘আট বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রত্যাবর্তনটা অসাধারণ হয়েছে এবং ভারতে ভিউআরশিপের সংখ্যা ছিল অপ্রতিরোধ্য। বিশেষ করে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতে ক্রিকেটের আবেদনটা কত বেশি সেটাই প্রমাণ হয়েছে এই রেকর্ড ভিউআরশিপে। আইসিসি ইভেন্ট বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষদের দারুণভাবে সংযুক্ত করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মার্কেটিং কৌশলও অসাধারণ, বিদ্যমান মানুষের মাঝে রোমাঞ্চ তো ছড়াচ্ছেই, তেরি করছে নতুন ফ্যানবেজও।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।