স্পোর্টস ডেস্ক: মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য একটা নাম। ২০০১ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকে নানা চড়াই উৎরাই পার করে খেলে চলেছেন অবিরাম। ২০০৯ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তবে সে বছর ইনজুরির কারণে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাকে দলের বাইরে থাকতে হয়। সুযোগ হারান ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার। ২০১৪ সালে আবারও অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। সেই থেকে শুরু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনন্য অগ্রযাত্রা।
নতুন করে অধিনায়ক হওয়ার পর নিজ নেতৃত্বগুণে দলকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। ২০১৭ সালে টাইগাররা খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাছাড়া দেশের মাটিতে সিরিজ তো আছেই।
চলতি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার আগে ত্রিদেশিয় টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতে তারই নেতৃত্বে।
প্রতিটি আসর বা সিরিজেই সফল ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নেতৃত্বগুণ ছাড়াও বোলিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রথম ফাস্ট বোলার। কিন্তু ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ আসরে কতটা সফল মাশরাফী?
২০১৯ বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে মোট ৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, একটি পরিত্যক্ত। বোলার হিসেবে আসরে একেবারে অনুজ্জ্বল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে কার্ডিফে মাত্র ১টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। বাকি ৭ ম্যাচে উইকেট শূণ্য।
যে মাশরাফিকে কিপটে বোলার বলা হতো সে মাশরাফি চলতি আসরে রান দিয়েছেন ৩৬১।
২০০৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ময়দানে নামেন। সেবার মাত্র দুটি উইকেট পান এই বোলার। ব্যাট হাতেও তেমন কোনো কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন মাশরাফী। সেবার ৯টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলেও খেলতে পারেননি।
২০১৫ সালে মাশরাফীর নেতৃত্বে বিশ্বকাপে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তাসকিন, রুবেলকে নিয়ে দলের পেস আক্রমণ সাজিয়েছিলেন অধিনায়ক। সেবার ৭টি উইকেট পেয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
চলতি বছর খেলেছেন শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু পুরোদস্তুর একজন বোলার হিসেবে নামের সুবিচার করতে পারেননি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক।
ব্যাট হাতেও অসফল মাশরাফী। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি রান করেছেন মোটে ৩৪। জয় পাওয়ার মতো ম্যাচগুলোতেও অধিনায়কসূলভ ব্যাটিং তিনি করতে পারেননি। শুধু ভারতের ম্যাচটির দিকে তাকালেই সে প্রমাণ পাওয়া যায়।
উইকেট হারিয়ে যখন জয়ের জন্য ধুকছিল বাংলাদেশ, ম্যাচটি বের করে নিচ্ছিলেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। মাশরাফী ব্যাটিংয়ে এলেন। একটি ছয়ের মারে বাঙালির মনে জয়ের আশা বাড়ালেন। কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালে খেলার আশা।
অথচ সাকিব-তামিমরা বলেন, মাশরাফীর ব্যাটিং পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। তিনি বোলার না হলে একজন সফল ব্যাটসম্যান হতে পারতেন। বিশ্বকাপ আসরগুলোতে ব্যাট হাতে মাশরাফীর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই। শেষটাও শেষ করলেন নিভতে থাকা প্রদীপের মতো। যেখানে নেই কোনো অর্জন।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।