স্পোর্টস ডেস্ক: দর্শকঠাসা মাঠেই এবছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে চান সাবেক অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার থেকে বিধ্বংসী অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন!
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক সোমবার (৪ মে) জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে তাদের সমস্যা হবে না। কিন্তু দর্শকশূন্য গ্যালারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা থেকে কি তারা লাভ করতে পারবেন?
তা ছাড়া সমর্থক না থাকলে বিশ্বকাপের উত্তেজনায় ভাটা পড়বে বলেও ধারণা ক্রীড়ামন্ত্রীর। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, দর্শকশূন্য গ্যালারিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার লোকসান হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)।
এক অস্ট্রেলীয় রেডিও চ্যানেলে কোলবেক বলেছেন, এবছর অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে মুখিয়ে আছি আমরা। সূচি নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। নানা ধরনের বিধি মেনে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু মাঠে দর্শকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।
কোলবেক আরও বলেন, আমরা জানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের সম্পূর্ণ আলাদা রাখার ব্যবস্থাও করতে রাজি। কিন্তু করোনার প্রভাব রুখতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। যেমন করোনা প্রভাবিত দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ। বিশ্বকাপ হলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে। ক্রিকেটাররা আসুন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু ভিন দেশের সমর্থকদের আটকানো হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যদিও আইসিসি টুর্নামেন্টের প্রথা অনুযায়ী বাছাই করা দেশের সমর্থকদের আটকানোর কোনও নিয়ম নেই।
কোলবেক জানিয়েছেন, আমরা এখন আলোচনা করছি। তবে আগস্টের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে, এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আদৌ আয়োজন করা হবে কি না। করলেও সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোলবেক বলেন, সব দিক থেকেই আমরা তৈরি থাকব। সব রকম নির্দেশ, পরামর্শ মেনেই কাজ চলবে বিশ্বকাপ আয়োজনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।