৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের আলাপটা তুলেছিল উরুগুয়ে। তাদের এক প্রতিনিধি গেল মাসে ফিফার কাউন্সিলে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ।
গেল মাসে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন জানিয়েছিলেন, ‘এটা নেহায়েতই বাজে একটা ধারণা। এ প্রস্তাবটা বিস্ময়কর।’ বিস্ময়কর এ কারণে, কারণ তখন বাছাইপর্বটা অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার শঙ্কা থেকে যায়।
বিশেষ করে মেসির আর্জেন্টিনা, নেইমারের ব্রাজিলের কনফেডারেশন– কনমেবল অঞ্চলে এ শঙ্কাটা বেশি। কনমেবল থেকে গেল বিশ্বকাপ পর্যন্ত সরাসরি টিকিট পেত মূল টুর্নামেন্টের, ছয় নম্বর দলের সামনে সুযোগ থাকত প্লে অফ খেলে আসার। ২০২৬ বিশ্বকাপে দল খেলবে ৪৮টা। তাতে একটা স্লট বেড়েছে কনমেবলের, এখন ৬ দল সরাসরি খেলবে, আর একটা দল আসতে পারে প্লে অফ খেলে।
কনমেবল অঞ্চলের দলই আছে মোটে ১০টা। সেখান থেকে ৭ দল চলে আসতে পারে ৪৮ দলের বিশ্বকাপে। সেখানে যদি ৬৪ দলের বিশ্বকাপ হয়, তখন স্লটের সংখ্যা আরও একটা বাড়বে। তখন ১০ দলের ৮টাকে বিশ্বকাপে দেখার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে কনমেবলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।
তবে খোদ কনমেবল সেসব ভাবনায় না এনেই জানাচ্ছে, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা। এ প্রস্তাবটা এসেছে এবার খোদ কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিঙ্গেজের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপনটা দারুণ কিছুই হবে, আমরা নিশ্চিত। ১০০ বছরে একবার এটা উদযাপনের সুযোগ আসে। সে কারণে আমরা প্রথমবারের মতো তিন মহাদেশে ৬৪ দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবটা দিচ্ছি।’
২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দেশ খেলুক বা না খেলুক, সে টুর্নামেন্টটা হবে তিন মহাদেশ মিলিয়ে। দক্ষিণ আমেরিকায় শুরু হয়ে ইউরোপ ও আফ্রিকার ৬টি দেশে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। দক্ষিণ আমেরিকার তিন দেশ– আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে; ইউরোপ থেকে আয়োজক হয়েছে স্পেন ও পর্তুগাল, সঙ্গে আফ্রিকার আয়োজক হিসেবে থাকবে মরক্কো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।