স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টি, বাজে আম্পায়ারিং আর একপেশে খেলার জন্য ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ নিয়ে অনেকেই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল কেমন হয় – রবিবার রাতের আগে এমন প্রশ্নের উত্তরে হয়তো অনেকেই বলতেন – ‘ম্যাড়ম্যাড়ে, ক্লিশে, একপেশে’। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের এই ম্যাচের পর অনেকের ধারণা বদলে গেছে। কেবল নাটকীয় বললেও হয়তো কম বলা হবে, এক কথায় অবিশ্বাস্য ছিল এই ম্যাচের শেষভাগ। খবর : বিবিসি বাংলা
রান নেয়ার সময় ব্যাটে লেগে চার
ইংল্যান্ডের শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৫ রান, বল হাতে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। উইকেটে দাঁড়িয়ে বেন স্টোকস প্রথম দুই বলে স্ট্রাইক ছাড়েননি, কোনো রানও নেননি। তৃতীয় বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দেন কেন তিনি স্ট্রাইক ছাড়েননি। তবে ম্যাচের মোড় ঘোরে পরের বলে, যেখানে দৌঁড়ে মাত্র দুটি রান আসার কথা, সেখানে বেন স্টোকস ডাইভ দেয়ার পর বল ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়, সেই বলে মোট রান আসে ছয়টি।
এ নিয়ে খানিকটা খটকা ছিল মাঠেও, বেন স্টোকস সাথে সাথে হাত উঠিয়ে জানান দেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট বলে লাগাননি।প্রথমে দৌঁড়ে নেয়া দুই রানের সাথে যোগ হয় ওভারথ্রোতে আসা চার, মোট রান হয় ছয়। এর ফলে পরের দুই বলে প্রয়োজন ছিল তিন রান। দুই বলেই দৌঁড়ে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হন নন স্ট্রাইকার, দুটি রান আসে এই দুই বল থেকে ম্যাচ হয় টাই।
ইংল্যান্ডের সহজ লক্ষ্য যেভাবে কঠিন হয়
৩০ বলে প্রয়োজন ৪৬। উইকেটে ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস, পুরো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অনুসরণ করলে মনেই হতে পারে এটা খুবই সম্ভব। জিমি নিশাম বল হাতে নেন ৪৬তম ওভারে, সে ওভারে ৭ রান দেন তিনি। এবার চার ওভারে প্রয়োজন ৩৯, মাত্র পাঁচ রান দিয়ে এই ওভারে একটি উইকেট তুলে নেন লোকি ফার্গুসন। আটচল্লিশতম ওভারে যখন বোল্ট বল নিয়ে আসেন, স্টোকস-প্লাঙ্কেট মিলে সে ওভারে ১০ রান তুলে নেন। নাটকীয়তার শুরু হয় ৪৯তম ওভারে, জিমি নিশামের সে ওভারে, ছক্কা হয় একটি উইকেট যায় দুটি, রান আসে নয়।
দুই দলের রান সমান, কিন্তু ইংল্যান্ড জয়ী কীভাবে
সুপার ওভারে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে এবং মাঠে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড প্রথম বলে তিন রান নেয়ার পর একটি চারসহ ১৫ রান তোলে। জবাবে ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে নেন জোফরা আর্চার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে নেন অফ ফর্মে থাকা মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম।
ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন আর্চার। আর ওভারের দ্বিতীয় বলে নিশাম মিড উইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে আবারো দুই। তিন বলে যখন দরকার ৫ রান, আবারও ২ রান নিয়ে দরকার হয় ২ বলে ৩। এরপর ১ বলে দরকার হয় ২ রান, পুরো টুর্নামেন্ট ব্যাট হাতে ব্যর্থ থাকা গাপটিল আসেন স্ট্রাইকে। শেষ বলে আসে ১ রান অর্থাৎ সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই কিন্তু তাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ইংল্যান্ড। কারণ পুরো ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাকানোর কারণে ততক্ষণে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।