বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা ও বিক্রির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রায় ৪ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করলেও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করেছে। এর ফলে গত বছরের চেয়ে গাড়ি বিক্রি কমেছে টেসলার। অন্যদিকে, চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডির গাড়িও এ বছর কম বিক্রি হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ৫ লাখ ২৬ হাজার গাড়ি বিক্রি করলেও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ লাখের মতো গাড়ি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি কমায় বেশ চাপে পড়েছে জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগন। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ২ লাখ ৩৯ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করলেও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ১ লাখ ৩৬ হাজার গাড়ি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা কমায় ভক্সওয়াগন নিজেদের তিনটি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই কারখানায় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কাজ কমিয়ে দিয়েছে।
অ্যাস্টন মার্টিন, বেন্টলে, রেঞ্জ রোভার, টয়োটাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করে। এর মধ্যে ভক্সওয়াগন তিনটি কারখানা বন্ধের পাশাপাশি কর্মীও ছাঁটাই করেছে। বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িশিল্পে ধস নামলে চার লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারাবেন। যেকোনো উদীয়মান প্রযুক্তির মতোই বৈদ্যুতিক গাড়িশিল্পে এখনো অনেক ত্রুটি বা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এসব গাড়ির চার্জিং সুবিধা এখনো সর্বজনীন নয়। ভ্রমণের সময় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা আছে। এসব কারণে বিক্রির চাহিদা কমছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।