আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে ফের কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। দাম স্থিতিশীল থাকার তিন দিন পর আজ সোমবার ডলারের মানবৃদ্ধি ও চাহিদা কমে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ডলারের মান বেড়ে যাওয়া এবং অন্য মুদ্রার মান স্থিতিশীল কিংবা হ্রাস পাওয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৯৫ দশমিক ৫৫ ডলারে নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৯ দশমিক ৬৫ ডলারে। গত অক্টোবরে কমে হয়েছিল ৮৯ দশমিক ২৯ ডলার।
গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিন স্থিতিশীল থাকার পর সোমবার কমল তেলের দাম। সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যায়ে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই দুই ধরনের তেলের দাম কমায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
জাপানের অর্থনীতিবিদ তাতসুফুমি ওকোশি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, আর অন্যান্য মুদ্রার মান হয় স্থিতিশীল আছে, নয়তো কমছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তেলের জন্য ডলার কেনা বাবদ এখন অতিরিক্ত দেশীয় মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের। আবার ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকায় ব্যাংকগুলোর সুদের হারও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণে স্বাভাকিভাবেই কম পরিমাণ তেল কিনছে বিভিন্ন দেশ। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত যদি এই পরিস্থিতি থাকে, সেক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা আছে।’
চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ক্রেতা। কিন্তু নিজেদের মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজার থেকে তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে চীন। একই সময়ে রাশিয়া থেকে কম দামে বিপুল পরিমাণ তেল কিনছে দেশটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মন্দাভাব শুরু হয় জ্বালানি তেলের বাজারে। এই যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্ববাজারে আসতে পারছে না রাশিয়ার জ্বালানি তেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।