আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। অনেকেই জ্বালানি তেলকে রাশিয়া যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছে। তবে গত কয়েকদিনে তেলে বাজার দেখা গেছে কিছুটা স্বস্তির ছোঁয়া। কয়েক দফা দাম কমার পর আজ আরও একবার বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই— উভয়েরই দাম কমেছে।
এ দিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুড তেলে বিক্রি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৫২ ডলারে। আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৭৯ ডলার কমেছে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম।
আর অপর বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ৩৪ ডলার কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ দশমিক ৩৯ ডলারে।
তেলের বাজার চাঙা রাখতে সম্প্রতি জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নেওয়ার পর বিশ্ববাজারে গত কিছুদিন খানিকটা স্থিতিশীল ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বুধবার তাতে ছন্দপতন ঘটল।
আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের মতে, চীন জ্বালানি তেল ক্রয় কেনা কমিয়ে দেওয়ার কারণেই তেলের দামে এই দীর্ঘ মন্দাভাব শুরু হয়েছে।
অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারী মার্কিন কোম্পানি পিভিএম ওয়েল অ্যাসোসিয়েটসের বাজার বিশ্লেষক তামাস ভার্গা রয়টার্সকে বলেন, ‘চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ক্রেতা। কিন্তু সরকারের ’জিরো কোভিড’ নীতির কারণে চলতি বছরের পুরো সময়জুড়ে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে লকডাউন জারি রেখেছে দেশটির সরকার।’
‘ফলে শিল্প করাখানার উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি এসেছে, তেমনি জ্বালানি তেলের চাহিদাও কমেছে।’
তবে জিরো কোভিড নীতির কারণে চীনের প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি এলেও দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে— এমন তথ্য সর্বাংশে সঠিক নয়। কারণ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বর্তমানে চীন। গত কয়েক মাসে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির এ দেশটি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার তেল কেনা-বেচার তথ্য আসছে না। পশ্চিমা বিশ্ব ইতোমধ্যে রাশিয়ার তেলের বাজারকে ‘চোরাবাজার’ আখ্যা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।