Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, জেনে নিন সাধারণ ব্যাংকের সাথে পার্থক্য
অর্থনীতি-ব্যবসা জাতীয়

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, জেনে নিন সাধারণ ব্যাংকের সাথে পার্থক্য

protikAugust 26, 2019Updated:August 26, 20195 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইসলামী ব্যাংকিং। এর সফলতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামিক উইন্ডো চালু করতে শুরু করেছে নানা নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্যাংকও। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের এই অগ্রযাত্রাকে অকপটে স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফের ভাষ্য মতে, বিশ্বজুড়েই ইসলামী ব্যাংক ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে এবং এ ধারার ব্যাংকিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আইএমএফ ইসলামী ব্যাংকিং সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলেছে, এ খাতে (ইসলামী ব্যাংকিং) মুনাফা ও লোকসান দুটিই সমানভাবে গ্রহণ করা হয়। এতে কাউকেই খুব বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় না। ঝুঁকি একেবারেই কম থাকায় গণমানুষ এ ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে। ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিং। আস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এ খাতে বিশ্বে যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাতে এটি অনেক সম্ভাবনাময়। (সূত্র : যায়যায়দিন)

অনেকের ধারণা ব্যাংক তো ব্যাংকই। ইসলামী আর অনৈসলামিক শুধু লেবেলমাত্র। উভয়ই ঋণ দেয়, সুদ নেয়। পার্থক্য হলো, একজন সরাসরি আর অন্যজন ঘুরিয়ে। বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। প্রকৃতপক্ষে ইসলামী ব্যাংক ও সুদি ব্যাংকের মধ্যে অনেক দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। বাহ্যত ইসলামী ব্যাংক ও সুদি ব্যাংকের লেনদেন, বিনিয়োগ ও অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত না হলেও দুটি ব্যবস্থারই কার্যক্রমের নীতিমালা, পদ্ধতি ও অন্যান্য মৌলিক বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বহু পার্থক্য। নিচে এর কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো—

ইসলামী ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য :
ইসলামী ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা তার মৌলিক বিধান ও কর্মপদ্ধতির সব স্তরেই ইসলামী শরিয়ার নীতিমালাকে মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সুদভিত্তিক ব্যাংক এমনটা নয়।

ইসলামী ব্যাংক অর্থের ব্যবসা করে না, বরং পণ্যের ব্যবসা করে। ইসলামী ব্যাংকে নগদ অর্থ পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয় না, বরং নগদ অর্থকে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুদি ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে সুদি অর্থের ব্যবসা করে, অর্থাৎ অর্থকে ব্যবসার পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে।

ইসলামী ব্যাংক সব ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের নির্দেশনাবলি মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এতদুদ্দেশ্যে ইসলামী ব্যাংকে একটি তদারককারী শরিয়া বোর্ড থাকে। পক্ষান্তরে সুদি ব্যাংকের অস্তিত্ব যেহেতু সুদের ওপর নির্ভরশীল, সুতরাং সেখানে শরিয়া বোর্ড থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।

ইসলামী ব্যাংকের মুখ্য উদ্দেশ্য শুধু মুনাফা অর্জন করা নয়। ইসলামী ব্যাংককে সমাজের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হয়। তাই লাভজনক হলেও সমাজের জন্য ক্ষতিকর কোনো খাতে ইসলামী ব্যাংক অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে না। পক্ষান্তরে সমাজের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতি দৃষ্টি দিতে সুদি ব্যাংকগুলো বাধ্য নয়। এ ব্যাপারে তারা নিরপেক্ষ। সুদসহ মূলধন ফেরত আসবে কি না, এটাই তাদের দেখার বিষয়। সেখানে হালাল-হারামের প্রশ্ন অবান্তর।

ইসলামী ব্যাংক আসলের অতিরিক্ত কোনো অর্থ পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাউকে কোনো নগদ অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে না। কারণ ঋণের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে শুধু আসল ফেরত নেবে, চুক্তির ভিত্তিতে আসলের অতিরিক্ত কিছু নিলে সুদ হবে। অতিরিক্ত নিতে চাইলে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ অর্থের সাহায্যে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। সুদি ব্যাংক আসলের অতিরিক্ত কিছু উপার্জনের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতাকে নির্দিষ্ট হারে সুদে নগদ অর্থ লোন বা ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণগ্রহীতার ক্ষতি হলেও সুদি ব্যাংকের কিছু যায় আসে না। তারা তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ সুদে আসলে ফেরত পেলেই হলো।

ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অংশীদারি কারবারে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়েরই যৌথ দায়িত্ব থাকে এবং পূর্বনির্ধারিত চুক্তি অনুসারে ব্যবসার লাভ-লোকসানে অংশ নেয়। ইসলামী ব্যাংক ব্যবসার সব দায়-দায়িত্ব ও লোকসানের বোঝা বিনিয়োগ গ্রহীতার ওপর ছেড়ে দেয় না; বরং ইসলামের বিধান অনুযায়ী লোকসানেরও বোঝা বহন করে। অন্যদিকে সুদি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে ব্যাংক সুদসহ আসল পূর্ণভাবে আদায় করে নেয়। ব্যবসার সব দায়-দায়িত্ব ও লোকসানের বোঝা ঋণগ্রহীতাকে একাই বহন করতে হয়। ঋণগ্রহীতার লোকসানের দিকে সুদি ব্যাংক আদৌ কোনো নজর দেয় না।

ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিনিয়োগকৃত মূলধনের নিরাপত্তা এবং সুনির্দিষ্ট আয়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে ব্যবসায়ে লাভের জন্য এবং লোকসানের হাত থেকে বাঁচার জন্য ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। আর সুদি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মূলধন পূর্ণ নিরাপদ এবং সুদের মাধ্যমে আয়ের বৃদ্ধিও সুনির্ধারিত ও সুনিশ্চিত।

ইসলামী ব্যাংক অর্থ জমাদানকারীদের কোনো নির্দিষ্ট লাভ প্রদানের অগ্রিম আশার বাণী শোনায় না। ব্যাংক জমাদানকারীদের অর্থ ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে যে মুনাফা অর্জন করে থাকে, তার থেকে একটি অংশ বা হার (পূর্ব শর্তানুযায়ী) জমাদানকারীদের প্রদান করে থাকে। আর সুদি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সুদের হার পূর্বনির্ধারিত থাকে। ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে বেশি হারে সুদ নেয় এবং তার থেকে কম হারে আমানতকারীদের সুদ প্রদান করে।

ইসলামী ব্যাংকগুলো সুদের বিনিময়ে টাকা খাটায় না। বরং ব্যাংক নিজে কিংবা উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকে। এই ইসলামী পদ্ধতিতে ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু সুদি ব্যাংকগুলোর আসল ও প্রধান কাজ হলো সুদের বিনিময়ে টাকা খাটানো।

ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো আল্লাহর নির্দেশিত পথে সমাজ থেকে শোষণের অবসান ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধন করা। আর সুদি ব্যাংক সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে বাধ্য নয়। অর্থের ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের মুষ্টিমেয় শ্রেণির ভাগ্যোন্নয়নেই এর কার্যক্রম প্রধানত সীমাবদ্ধ।

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকের সম্পর্ক হলো পণ্য বিক্রেতা ও ক্রেতার এবং ব্যবসার লাভ-লোকসানের অংশীদারত্বের; সুদি ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকের সম্পর্ক থাকে মহাজন-খাতকের এবং সুদগ্রহীতা ও সুদদাতার।

ইসলামী ব্যাংক নিজেকে সমাজ সংগঠনের একটি অংশ মনে করে। ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করা।

ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতিগুলো পণ্য কেনা-বেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে বিনিয়োগ গ্রাহককে নগদ অর্থ প্রদান করা হয় না। কিন্তু সুদি ব্যাংকগুলো পণ্য কেনা-বেচা করতে বাধ্য নয়, এখানে গ্রাহক বা ঋণগ্রহীতার হাতে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ তথা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একবার মুনাফা ধার্য করার পর তা মেয়াদোত্তীর্ণ (ড়াবত্ফঁব) হলে অতিরিক্ত সময়ের জন্য ব্যাংক দ্বিতীয়বার কোনো মুনাফা ধার্য করতে পারে না। কারণ ইসলামী শরিয়তে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের পর পণ্যের মূল্য ক্রেতার কাছে ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। আর ঋণের ওপর সময়ের ব্যবধানে অতিরিক্ত কিছু আদায় করার অর্থই হচ্ছে সুদ আদায় করা। কিন্তু সুদি ব্যাংক তাদের কোনো হিসাব মেয়াদোত্তীর্ণ হলে অতিরিক্ত সময়ের জন্য তারা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আদায় করে থাকে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় অর্থনীতি-ব্যবসা ইসলামী জনপ্রিয়? জেনে নিন পার্থক্য বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ব্যাংকের সাথে সাধারণ হচ্ছে
Related Posts
Press

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব

December 24, 2025
Metting

কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

December 24, 2025
মান্না

হাইকোর্ট রিট খারিজ, নাগরিক ঐক্যের মান্না নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

December 24, 2025
Latest News
Press

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব

Metting

কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

মান্না

হাইকোর্ট রিট খারিজ, নাগরিক ঐক্যের মান্না নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

প্রেস সচিব

আ.লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রেস সচিব

ডাকসুর জিএস-এজিএস

বিয়েতেও হাদি হত্যার বিচার চাইলেন ডাকসুর জিএস-এজিএস

মেট্রোরেল

মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি ৩০ জুন পর্যন্ত

বদিউল আলম

অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে ইসি: বদিউল আলম

পতাকা বিক্রি

তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে পতাকা বিক্রির ধুম

ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ

এভারকেয়ার হসপিটাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষেধ

Taka-

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংকগুলো, জেনে নিন

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.