আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ, রকেট ও বিমান হামলায় একটু পরপরই কেঁপে উঠছে দক্ষিণাঞ্চলীয় ককেসাসের নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল। দীর্ঘদিন ধরে আর্মেনিয়া সমর্থিত আদিবাসী ও আজারবাইজানের মধ্যে অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে মুখোমুখি সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দেশ দুটি।
আজারবাইজানের ড্রোন, বিমানের পাশাপাশি শুক্রবারও দেশটির হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছে আর্মেনিয়া। অপরদিকে আর্মেনিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা তারতার ও ফিজুলি অঞ্চলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা দফতর।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিকমত হাজিয়েভ বলেন, আজারবাইজানের বেসামরিক নাগরিক ও তাদের স্থাপনায় হামলার জন্য আর্মেনিয়া সরাসরি দায়ী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে তারা রাজনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বময় এ সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
দুই দেশের সেনাসদস্যের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন। বিতর্কিত অঞ্চলটিতে গোলাবর্ষণের শিকার হয় একটি বেসামরিক যাত্রীবাহী বাস। বাসে থাকা রাশিয়া, আর্মেনিয়ার সাংবাদিকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। আজারবাইজানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হলেও নতুন করে আবারও যুদ্ধবিরতির আগ্রহ দেখিয়েছে আর্মেনিয়া।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উসকানি দেয়ার অভিযোগ করে এলেও আবারও আজারবাইজানকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আখ্যা দিয়ে দেশটিতে সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।
তিনি বলেন, আমাদের ভাতৃপ্রতীম দেশ আজারবাইজান তাদের নিজেদের অঞ্চল রক্ষায় বড়সর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ সফলতার সঙ্গে তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের সব শক্তি ও মনপ্রাণ দিয়ে তাদের সাহায্য করে যাব।
প্রকাশ্যেই আজারবাইজানকে সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিলেও নিজেদের সেনা ও অস্ত্রসরঞ্জাম দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তুরস্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।