বিএমডব্লিউ মাত্র দেড় লাখ টাকায়!

জুমবাংলা ডেস্ক: পর্যটন সুবিধায় আনার পর চট্টগ্রাম বন্দরে আটক বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের গাড়ির নিলামে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি মাত্র দেড় লাখ টাকায় এবং একটি ল্যান্ড রোভার গাড়ি ১২ লাখ টাকা দর উঠেছে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রতিটি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে একটি বিএমডব্লিউ’র। জার্মানিতে ২০০৭ সালে তৈরি 730LD SE AUTO মডেলের গাড়িটি ৪ আসনের। এ গাড়ির জন্য ফারজানা ট্রেডিং দর দিয়েছে ৫৩ লাখ টাকা। অবশ্য কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ধরেছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৬০ টাকা।

নিলামে বিশ্বখ্যাত ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল চার কোটি ৫ লাখ ১৩ হাজার ৩১৩ লাখ টাকা। গাড়িটির দর উঠেছে ১২ লাখ টাকা।

আরেকটি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৮৮ লাখ ৬০ টাকা। গাড়িটি ২০০০ সালের তৈরি।

কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ থেকে ৪ নভেম্বর অনলাইনে ও দেশের ৫টি নির্ধারিত স্থানে এসব গাড়ির পঞ্চম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হলেও ২টি গাড়ি কেনার জন্য কেউ দর জমা দেননি।

এবার নিলামে তোলা ১১২টি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। নিলামে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি এবং শাহাদাত হোসেন ১১টি করে গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন।

এ ছাড়াও, এ নিলামে ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ভক্সওয়াগনের মতো বিশ্ব বিখ্যাত বেশ কিছু ব্র্যান্ডের গাড়িও ছিল।

তবে এ সব গাড়ি পেতে দর দাতাদের নিলাম কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘নিলাম সম্পন্ন করেছি এটা ঠিক। তবে নিলাম কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি হস্তান্তর করা হবে।’

গাড়ির দাম কম পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে সব গাড়ির দাম প্রত্যাশার চেয়ে কম উঠেছে, সেগুলো দর দাতাদের হস্তান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়ে নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’

ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করছেন অমিতাভ বচ্চন