সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এখানে এখন নতুন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনকি যারা পুরাতন গ্রাহক ছিলেন তারা চাঁদা দিতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না। অর্থনীতিবিদের মনে করেন যে, এটি চালু করার আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না।
তবে পেনশন অথরিটি বলছে যে, এখানে আরো আকর্ষণীয় ফিচার যুক্ত করা হবে। যারা বয়স্ক ব্যক্তি তাদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য এটি চালু হয়েছিল। তবে এখন এটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে । রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে পেনশন স্কিমে নতুন গ্রাহক যুক্ত হচ্ছেন না। চাঁদা দেওয়াও আগের থেকে অনেক কমে গেছে ।
স্কিম চালুর আগে ভবিষ্যৎ মূল্যস্ফীতি, গ্রাহকের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের রিটার্ন, সরকারি দায়সহ বিভিন্ন আর্থিক পর্যালোচনায়র ঘাটতি ছিলো বলে মত অর্থনীতিবিদদের। যার ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভালোভাবে বিবেচনা না করেই এগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। এখন আমি খানিকটা বিশ্বাসের ঘাটতি আছে, বিশ্বাসযোগ্য হতে সময় লাগবে। এই সময়টাই আমাদের সরকারের উচিৎ হবে এগুলো আরেকটু যাচাই-বাছাই করা। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার করতে হবে, এই স্কিমগুলো থাকবে, এই স্কিমগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। তাহলে মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে।’
পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ভবিষ্যত নিয়ে গত অক্টোবরে অর্থউপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভা হয়। সেখানে তাগিদ দেয়া হয় বিদ্যমান স্কিমগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করার।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান বলেন, ‘আরও স্কিমগুলো গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য বীমা যোগ করা যায় কি না? অনেকেই আছেন নিম্ন আয়ের কর্মচারি, তাদের স্বাস্থ্য এবং যে চাঁদাটা দিতে পারলেন না সেটা হয়তো তাদের পক্ষে বীমা কোম্পানি পরিশোধ করবে।’ পোশাক খাতের শ্রমিক, প্রবাসী কর্মীদের পেনশনে যুক্ত করতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।