বিশ্বের প্রথম অগ্নি-নির্বাপক প্রযুক্তির টিভি তৈরি করলো ওয়ালটন

বিশ্বের প্রথম অগ্নি-নির্বাপক প্রযুক্তির টিভি উদ্ভাবন ওয়ালটনের

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অগ্নি নির্বাপক প্রযুক্তির টেলিভিশন তৈরি করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক ওয়ালটন, যা বিশ্বে প্রথম বলে দাবি কোম্পানিটির।

বিশ্বের প্রথম অগ্নি-নির্বাপক প্রযুক্তির টিভি উদ্ভাবন ওয়ালটনের

ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে ‘বিশ্বে সর্ব প্রথম’ অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির টেলিভিশন উৎপাদন সম্ভব হয়েছে বলে বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

এদিন রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম মুর্শেদ অগ্নি নির্বাপক প্রযুক্তিতে উৎপাদিত নতুন এ টেলিভিশন উদ্বোধন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ওয়ালটন জানায়, গবেষণার মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ফিচারের সংযোজন করে চলেছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রকৌশলীরা ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপক সিস্টেম প্রযুক্তির টেলিভিশন তৈরি করেছে।

অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত ওয়ালটনকে বিশ্বের প্রথম ‘ফায়ার এক্সটিংগুইশার ইন্টিগ্রেটেড সেইফ টিভি’ উৎপাদনকারীর সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে জেওবি গ্রুপের সিনিয়র বিজনেস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার মার্কাস ফাইবিগ, এআই বিজনেস সলিউশনস মালয়েশিয়ার পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান এবং ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ালটন হাইটেকের প্রধান নির্বাহী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ভিশন হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটনকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ব্র্যান্ডে পরিণত করা।”

জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশকে জার্মানির স্বীকৃতি দানের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সময়ে আমরা ওয়ালটন উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম ফায়ার এক্সটিংগুইশার ইন্টিগ্রেটেড টিভি উন্মোচন করলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে।”

ওয়ালটনকে বাংলাদেশের উন্নতির অন্যতম লাইটহাউজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেফ্রিজারেটর, টিভির মত হাই-টেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে দেওয়ার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে পজিটিভ ব্র্যান্ডিং করছে।

“জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন এবং টেলিভিশন রপ্তানির মাধ্যমে জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।”

সবাই বলতো আমার স্তন নেই, মসৃণ বুক : অনন্যা পাণ্ডে