Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘সূর্যডিম’ চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে
অর্থনীতি-ব্যবসা কৃষি স্লাইডার

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘সূর্যডিম’ চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJune 11, 20214 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

যেখানে বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত আমের দাম প্রতি কেজি জাতভেদে ৪০ থেকে ১০০ টাকাতেই পাওয়া যায়।

দামি এই আমটি বাংলাদেশের কোন জাত নয়। আমটি জাপানি প্রজাতির বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এটি বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে।

জাপানি ভাষায় আমটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি’। বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বা ‘এগ অব দ্য সান’ নামেও পরিচিত।

তবে বাংলায় এই আমটি পরিচিতি পেয়েছে “সূর্যডিম” নামে।

এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের।

একেকটি আমের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মতো বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সে হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে একেকটি আমের দামই পড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মূলত চাহিদা মোতাবেক যোগান কম থাকা, মিষ্টা স্বাদ, ভিন্ন রঙ এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এতো বেশি।

দামি এই আমটি চাষ করে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছেন খাগড়াছড়ির কৃষক হ্ল্যাশিংমং চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কৃষিকাজকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মহলছড়ি উপজেলা। ওই উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ১২শ ফুট উঁচুতে ৩৫ একর জায়গাজুড়ে নিজ উদ্যোগে তিনি গড়ে তুলেছেন হরেক রকম ফলের বাগান। নাম দিয়েছেন ‘ক্রা এএ এগ্রো ফার্ম’।

সেই বাগানের একটি অংশেই চাষ করছেন ‘সূর্যডিম’ আম।

২০১৭ সালে তিনি প্রথম ভারত থেকে এই আমের ১০/১৫টি চারা কিনে নিজ বাগানে রোপণ করেন। দুই বছরের গাছ বড় হয়ে ওঠে এবং ২০১৯ সাল থেকে তিনি আম তোলা শুরু করেছেন।

তিনি জানান, মা গাছ থেকে চারা রোপণ করে বাগানের পরিধি বাড়িয়েছেন। এখন তার বাগানে সূর্যডিমের ১২০টির মতো গাছ রয়েছে। যেগুলোর উচ্চতা ৬/৭ ফুটের মতো।

চারাগুলো যত্ন করে পালন করায় এরমধ্যে প্রায় ৫০টি গাছে তিন চার বছর ধরে ফলন হচ্ছে, যা থেকে প্রতি বছর ৩শ থেকে ৪শ কেজি আম হয় বলে জানিয়েছেন মি. হ্ল্যাশিংমং।

যদিও বিরূপ আবহাওয়া এবং পানি স্বল্পতার কারণে এই আম চাষে তাকে বেশ বেগ পেতে হয় বলে তিনি জানান।

সূর্যডিম আম সাধারণত মে মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখে পাকা শুরু হয় এবং জুনের ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া যায়।

চলতি বছর একটি লম্বা সময় খরা মৌসুম থাকায় এবার আম চলে এসেছে সময়ের আগেই।

তিনি বলেন, এই আম চাষে নিতে হয় বিশেষ যত্ন। পরিমিত আলো, পানি, ছায়া সরবরাহের পাশাপাশি, প্রতিটি আম প্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।

আম তোলার পর গরমের কারণে সেগুলো বেশিক্ষণ নিজের কাছে রাখতে পারেন না। দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয়। এখনও এই আমের ক্রেতা খুব হাতে গোনা কিছু সৌখিন আমপ্রিয় মানুষ বলে জানা গেছে।

মি. হ্ল্যাশিংমং কিছু আম উপহার হিসেবে দিয়ে দেন এবং কিছু আম অনলাইনের বিভিন্ন পেইজে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি আম ৩০০ থেকে ৫০০টাকায় বিক্রি করলেও এই আম খুচরা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

হ্ল্যাশিংমং তার বাগানে প্রায় ৬০ জাতের আম সেইসঙ্গে ড্রাগনফল, রামবুটান, থাইলংগান, মালটাসহ প্রায় ১৫০ জাতের প্রচলিত-অপ্রচলিত-বিলুপ্ত জাতের ফল চাষ করে আসছেন।

তবে পাহাড়ে ‘সূর্যডিম’ আমের চাষ এবারই প্রথম।

সরকারিভাবেও পুরষ্কৃত কৃষক মি. হ্ল্যাশিংমং-এর পরিকল্পনা- এই আমের ফলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে একে একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত করা।

তিনি বলেন, “আমি চাই এই ফলের আবাদ সারা বাংলাদেশে হোক। আমি কৃষকদের বিনা পয়সায় বা নামমাত্র দামে চারা দিচ্ছি। সবাই যদি চাষ করে এই আমের ফলন বাড়ায়, তাহলেই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না।”

তবে তার বাগানে যে আমের ফলন হচ্ছে সেটা বিশ্বমানের কিনা, এর স্বাদ জাপানের উৎপাদিত মিয়াজাকি আমের মতো কিনা, সেটা তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।

সেখান থেকে ফলাফল এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও আবহাওয়া মিয়াজাকির ফলনের জন্য উপযোগী। এই আম আরও কয়েকটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ফলানো হচ্ছে।

এই আমের বাণিজ্যিক ফলন হলে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে পাহাড়ি এলাকার প্রচলিত আম আম্রপালির ফলন ও বাণিজ্যিক প্রসারের দিকেই এখন বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
সালাহউদ্দিন আহমদ

ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে : সালাহউদ্দিন

December 21, 2025
সোনা

সোনা নিয়ে অজানা কিছু তথ্য, যা আপনি জানতেন না

December 21, 2025
Hadi

ওসমান হাদির কবর দেখতে রাতেও সাধারণ মানুষের ভিড়

December 20, 2025
Latest News
সালাহউদ্দিন আহমদ

ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে : সালাহউদ্দিন

সোনা

সোনা নিয়ে অজানা কিছু তথ্য, যা আপনি জানতেন না

Hadi

ওসমান হাদির কবর দেখতে রাতেও সাধারণ মানুষের ভিড়

Sonchoypotro

আরও কমার শঙ্কা সঞ্চয়পত্রের মুনাফা

Osman Hadi

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য, উঠে এলো নতুন নাম

প্রধান উপদেষ্টা হাদি

তুমি যা বলে গেছো, তা বংশানুক্রমে পূরণ করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

হাদির কবরস্থান

হাদির কবরস্থান একনজর দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

Taka

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংকগুলো, জেনে নিন

ওসমান হাদি

জাতীয় কবির পাশে সমাহিত হলেন ওসমান হাদি

Gold

স্বর্ণ, টাকা বা জমির পরিবর্তে আগামী ১০ বছরে সবচেয়ে মূল্যবান হবে যে জিনিস

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.