গহীন বনে, বিরল এক অ্যানাকোন্ডার সন্ধান পেলেন গবেষকরা। নতুন প্রজাতির এই অ্যানাকোন্ডাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্টের ইকুয়েডর অংশে দেখা মিলেছে সাপটির। নতুন এই প্রজাতির সাদৃশ্য রয়েছে ১ কোটি বছর আগে অস্তিত্ব থাকা সবুজ অ্যানাকোন্ডার সাথে।
প্রায় এক কোটি বছর আগে অস্তিত্ব থাকা সবুজ অ্যানাকোন্ডাকে বলা হয় বিশ্বের সবথেকে বড় সাপ। আমাজন বনের এক অগভীর জলাশয়ের মধ্যে এ সাপের নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। গবেষকরা এ ধরনের দাবি করেছে।
আমাজনের ইকুয়েডরের অংশে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ডকুমেন্টারি সিরিজের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সন্ধান মিলেছে এ সাপের। এ সাপটি দেখতে দৈত্যাকার মনে হয়েছে। সাপটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ ফুটেরও বেশি এবং ওজন হবে ২০০ কেজির মত।
এ গবেষণা দলে নিযুক্ত ছিলেন ২০ বছর ধরে সাপ নিয়ে কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার গবেষক ব্রায়ান ফ্রাই। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের অ্যানাকোন্ডার নতুন প্রজাতি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এক ইন্টারভিউতে তিনি জানান যে, এ সাপটি দেখতে ছিল বিশাল।
অনেকের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হলেও আমার মধ্যে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যানাকোন্ডা। গবেষকদের দাবি অ্যানাকোন্ডার নতুন প্রজাতি এখনো নথিভুক্ত হয়নি। তবে এ প্রজাতির সাপ স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে অপরিচিত নয়।
সবুজ অ্যানাকোন্ডা সহ সব ধরনের অ্যানাকোন্ডা এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। গবেষকরা এ ধরনের শঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছেন। মূলত সুবিশাল আকৃতি হওয়ার কারণে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। টিকে থাকার জন্য তারা বেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাজন জঙ্গলে অ্যানাকোন্ডা অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আকার বড় হলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। বড় সাপের জন্য প্রয়োজন গভীর জলাশয়। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জলাশয়ের পরিমাণও কমছে। তবে অ্যানাকোন্ডা কোনো বিষধর সাপ নয়। আমাজনের উষ্ণ অঞ্চলের পানিতে এ সাপের দেখা মিলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।