আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এপ্রিল ও মে মাস এমনিতেই বছরের উষ্ণতম মাস। এ সময় বাংলাদেশে সূর্য তাপ দেয় খাড়াভাবে। ফলে গরম থাকে বেশি। এই সময়ে এবার দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। অসহনীয় গরমে নাস্তানাবুদ সকলে। এর মধ্যেই এক নতুন আশঙ্কার কথা জানালেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
চলতি বছর এবং আগামী বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাবে। এর কারণ হিসাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘এল নিনো’র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। আর এর প্রভাবেই বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, প্রশান্ত মহাসাগরে ‘লা নিনা’ পরিস্থিতির পর ‘এল নিনো’র প্রত্যাবর্তন ঘটছে। ‘লা নিনা’ পরিস্থিতির ফলে তাপমাত্রা কমে। আর ‘এল নিনো’র ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা হয়।
চিলি, পেরু-সহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে ‘এল নিনো’ ঘটে। ২ থেকে ৭ বছর অন্তর ফেরে এই পরিস্থিতি। এর ফলে মহাসাগরের জলস্তরের (সি সারফেস) তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে উপকূল এলাকার বায়ুমণ্ডলও তেতে ওঠে। এই পরিস্থিতির জেরে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে গরম পানির স্রোত মহাসাগরের পূর্ব দিকে ধেয়ে যায়।
এর জেরে পূর্ব উপকূলের সেই গরম পানি তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় মহাসাগর সংলগ্ন স্থলভাগের বিভিন্ন দেশের বহু এলাকার। ওই সময় সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা পানিও উপরে উঠে আসতে পারে না। ফলে সেখানকার সমুদ্রের পৃষ্ঠের পানির স্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগই পায় না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডিরেক্টর কার্লো বুয়োনটেম্পো জানিয়েছেন, বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে যোগ রয়েছে এল নিনোর। তবে সেটা ২০২৩ বা ২০২৪ সালে হবে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। তবে এই পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সূূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।