বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকেরা সম্প্রতি বলেছেন, তিনটি সমুদ্র ও পাঁচটি মহাদেশের গুহা, বনাঞ্চল, এমনকি সমুদ্রের গভীরে খুঁজে পান এসব প্রজাতি।
নতুন ওই প্রজাতির তালিকায় রয়েছে ফুল, মাছ, কোরাল, মাকড়সা, সামুদ্রিক প্রাণী, পিঁপড়া ও টিকটিকি। এসব নতুন প্রজাতির বিষয়ে এখন বেশি করে জানতে হবে। এতে করে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের বিষয়ে ব্যাপক জানা-বোঝার পাশাপাশি সংরক্ষণের প্রচেষ্টাও বেগবান করবে।
জাতিসংঘের এক সমন্বিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আড়াই’শ বছরের পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির গাছ। এ সংখ্যা আগের একই সময়ে বিলুপ্ত পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপের মিলিত সংখ্যার দ্বিগুণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাধারণ ধারণার চেয়ে ৫০০ গুণ দ্রুতগতিতে গাছ বিলুপ্তির ঘটনা ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়ে যাওয়ার প্রভাব মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের ওপরও পড়ছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্তির বিষয়টি যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রধান শ্যানন বেনেট বলেন, ‘পৃথিবীর অধিক পরিচিত ও দূরবর্তী এলাকাগুলোতে দশকের পর দশক নিরলস অনুসন্ধানের পরও জীববৈচিত্র্যে বিজ্ঞানীরা প্রকৃতির ৯০ শতাংশ প্রজাতি সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেননি। পৃথিবীতে থাকা সব প্রাণীর জীবনব্যবস্থার মধ্যে আন্তসংযোগ স্থাপন করা গেলে তা জলবায়ুসংকট সমষ্টিগতভাবে মোকাবিলার জন্য কার্যকর হবে। গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ ও ভালো জানা-বোঝার জন্য আমরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলাম, নতুন আবিষ্কৃত প্রতিটি প্রজাতি তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ গবেষকেরা গত বছর ২২৯টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন।
সূত্র: শীর্ষ নিউজ, আজকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।