বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে চায় পাকিস্তান

পাকিস্তান

সময় বদলায়, তাকে যে বদলাতেই হয়। শুধু পরীক্ষা নয়, ধৈর্য আর সংযমের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রায় তিন দশকের সেই পরীক্ষা শেষে আইসিসির এলিট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হচ্ছে করাচিতে। ব্যাট-বলের এই উৎসব দেখতে অধীর হয়ে আছে সে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তারা ক্রিকেট বিশ্বের সামনে নিজেদের ভালোবাসার নিবেদন দেখাতে চায়। আয়োজকরা প্রমাণ করতে চায়, ক্রিকেট সেখানে নিরাপদ।

পাকিস্তান

সর্বশেষ ১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল লাহোরে। তার পর ২০০৯ সালে লঙ্কান ক্রিকেট দলের বাসে বন্দুকধারীদের হামলা, আহত হয়েছিলেন ছয়জন; পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্ধকার যুগ শুরু তখন থেকেই।

‘আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন ছিল ২০০৯ সালের সেই ঘটনা। সে জন্য আমরা প্রায় ১০ বছর শাস্তি পেয়েছিলাম। কেউ আমাদের এখানে তখন খেলতে আসেনি। এবারের এই আসর সফলভাবে আয়োজন করে আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে চাই, আমাদের এখানে ক্রিকেট নিরাপদ। আমাদের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে।’

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এভাবেই নিজের কথাগুলো বলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক।

তাঁর মতো সাবেকদের অনেকেই এই আসরটি ঘিরে অধীর হয়ে আছেন। ‘পাকিস্তানের ক্রিকেট স্বাভাবিক করতে এই আসরটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অনেক বছর ধরে প্রশাসনিক কাজের সফলতায় এই আসরটি পেয়েছি আমরা। এখন বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরার সময়।’ এএফপিতে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি বর্ণনা করেন রমিজ রাজা।

ইনজামাম জানান, সে দেশের স্কুল, কলেজ, দোকানপাট, অফিস-আদালতে এখন শুধু এই টুর্নামেন্টের চর্চা চলছে। তবে ভারত এই আসরের ম্যাচগুলো খেলবে দুবাইয়ে। ঠিক এখানেই আফসোস সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের।

একটি এসিতেই পুরো বাসা ঠান্ডা রাখুন!

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের দর্শকরা তাদের মাঠে তারকা ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে চায়। ভারত এখানে এলে ভালো হতো।’