স্পোর্টস ডেস্ক : দেশে ফিরছে বিশ্বকাপ জয়ী যুবদল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রস্তুত যুবাদের বরণে। অপেক্ষা করছেন ভক্তরাও।
আজ বুধবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে ছোট বাঘদের বরণে বর্ণিল সাজে সেজেছে ভক্ত-সমর্থকরা। বিসিবিও জয়ীদের ছবি দিয়ে সাজিয়ে ফেলেছে স্টেডিয়াম চত্বর। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আকবর ‘দ্য গ্রেট’সহ বাকি যুবারা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে পা রাখলেই উৎসবে মেতে উঠবে সবাই।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেতেই দেখা গেল বাঘ সেজে এক ভক্ত অপেক্ষা করছেন ইমন-সাকিব-রাকিবুলদের জন্য। বয়জ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিকে দেখা গেল চ্যম্পিয়নদের ছবি সংবলিত টি-শার্ট পরে কপালে বেঁধে ও হাতে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। মিরপুর যেন উথলে পড়ছে জনসমুদ্রে।
বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বিশ্ব চ্যম্পিয়নরা। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহেন্সবার্গ থেকে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছাবে। সরাসরি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হবে তাদের।
লাল-সবুজের ধারক আকবর আলীদের বিশাল অভ্যর্থনা দেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত থেকে যুবাদের বরণ করবেন ফুল দিয়ে।
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে বিশ্বকাপ ছোঁয়া যুবাদের বরণ করতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বিসিবি। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে আকবর আলীদের ছবি সম্বলিত বিশাল ব্যানার। ওয়ার্লড চ্যাম্পিয়ন্স লেখা এই ব্যানারে দেখা যাচ্ছে আকবর আলীদের ট্রফি হাতে উল্লাসের মুহূর্ত।
একটি বিশাল বড় ব্যানার ছাড়া ছোট-ছোট তিনটি ব্যানার আছে। তার মধ্যে একটিতে আবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলকে শুভকামনা জানানো হয়েছে। মরিচ বাতিতে সাজানো হয়েছে স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের দেয়াল।
যুবাদের এমন অর্জনে পুরো দেশই ভাসছে আনন্দে-উল্লাসে। ছেলেদের এমন সাফল্যে সাজসাজ রব করছে দেশের ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
মিরপুর আসার পর তাদের নিয়ে কেক কাটা হবে। এরপর যুবাদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন নাজমুল হাসান পাপন। রাতে ডিনারের ব্যবস্থা থাকবে। এরপর যাদের বাসা ঢাকাতে তারা রাতেই চলে যাবেন। আর বাকিরা বিসিবি একাডেমিতে অবস্থানের পর পরদিন সকালে গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।