বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস প্রতি বছর ১৭ মে পালিত হয়, যা ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিচ্ছে। এই দিবসটির মাধ্যমে বাংলা দেশের মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণের মহৎ উদ্দেশ্য উপলব্ধি করে। ‘ন্যাশন, নেটওয়ার্কস, ন্যারেটিভস’ এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়। এটি বহুমাত্রিক নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গেও জড়িত, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
Table of Contents
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস ২০২৫-এর তাৎপর্য
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আইটিইউর (International Telecommunication Union) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ প্রতিবছর এ দিবসটি সক্রিয়ভাবে উদযাপন করছে। এবছরও বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারসহ নানা টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে, যা আগামী পর্যায়ের প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ ও জনগণের জন্য এর সুবিধার উপর আলোকপাত করবে।
টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশ
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন এবং ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ করে। এরপর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষ এখন সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির এই এজে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে প্রদত্ত ডিজিটাল সেবা উন্নতির ক্ষেত্রেও অগ্রসর হয়েছে। এই দিবস উপলক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের দিগন্ত
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি খাতেও ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। এর ফলে, দেশের অনেক প্রান্তে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বহু নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ৪জির (4G) সাথে ৫জির (5G) প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা হলো আগামী বছরগুলোতে পুরোপুরি ৫জি প্রযুক্তিতে স্থানান্তর করায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ICT (Information and Communication Technology) খাত দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। তবে এখনও বহুলাংশে ডিজিটাল বিভাজন বিদ্যমান রয়েছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা মনে করেন, অতিদ্রুত ডিজিটাল সেবা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত
আইটিইউর উদ্যোগে চলতি বছরে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশন, নেটওয়ার্কস, ন্যারেটিভস’ এর আলোচনা প্রযুক্তির অগ্রগতির পাশাপাশি বৈশ্বিক সংহতির অভিব্যক্তি। মূলত, এই আয়োজন বিশ্বকে বুঝবার সুযোগ দেয় যে, একটি জাতির উন্নতি আইসিটি খাতের বিকাশ ও এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করা থেকে শুরু হয়।
এবং নিশ্চিতভাবে, এই ডিজিটাল যুগে ও বিশ্লেষণী পদ্ধতিতে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়।
সার্বিক পর্যালোচনা
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশটির টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নতির উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। বিটিআরসি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করে চলেছে ডিজিটাল বিভাজন হ্রাস করাসহ সবার জন্য সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে। এভাবে, আগামী দিনের বাংলাদেশ একটি উন্নত এবং সংযুক্ত সমাজ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাবে।
বর্তমানে যাদের আগ্রহ ডিজিটাল সেবা এবং প্রযুক্তির উপর রয়েছে, তাদের আরো গবেষণার জন্য করোনাকালে প্রযুক্তির পরিবর্তন অবলোকনের সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের দিবস উদযাপন বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিচিতি এবং এদেশের ভবিষ্যৎ এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
FAQ
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস কি?
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস প্রতি বছর ১৭ মে পালিত হয় এবং এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির উৎসব হিসেবে পরিচিত।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য কি?
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ন্যাশন, নেটওয়ার্কস, ন্যারেটিভস’, যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে।
বাংলাদেশে এই দিবসটি কিভাবে পালিত হয়?
এই দিবসটি পালন করতে বিটিআরসি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের বর্তমান অবস্থা কি?
বর্তমানে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে এবং ৪জি ও ৫জি প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্রিয়।
ডিজিটাল বিভাজন কি?
ডিজিটাল বিভাজন হল প্রযুক্তি ব্যবহারে কিছু জনগণের অগ্রাধিকার পাওয়া এবং অন্যরা বঞ্চিত হওয়া, যা দেশের উদ্বেগের বিষয়।
আইটিইউ কি?
আইটিইউ বা International Telecommunication Union একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা সারা বিশ্বের টেলিযোগাযোগ নীতি ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়ী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।