স্পোর্টস ডেস্ক : বর্তমান ফুটবলের আলোচনার শীর্ষে মোহাম্মদ সালাহ। বিশ্ব ফুটবলের এ উজ্জল নক্ষত্র বর্তমানে ইনজুরিতে পরে আবারো আলোচনায় এসেছেনে। চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে সার্জিও রামোসের বাজে ট্যাকলে আঘাত পেয়ে এখন তার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সালাহ একজন মুসলাম এবং তিনি নিয়মিত কুরআন পড়েন। এটাই তার নিত্য নৈমিত্যিক অভ্যাস। সালাহ মুসলমান এটা জানলেও হয়ত এ তথ্যটা আপনার জানা ছিল না।
বিবিসির এক সংবাদে জানা যায়, সালাহ একজন নিবেদিত মুসলিম। তাই ধর্মচর্চায় কোনো রাখঢাক করেন না। নানা ধরনের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায় তাকে। মাঠে হরহামেশা এর প্রমাণ মেলে। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেজদাহে অবনত হন, দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন।খেলা শুরুর আগেও দোয়া করেন। যেখানে যান সঙ্গে রাখেন পবিত্র কোরআন।
এরই মধ্যে ম্যাচ খেলতে বিমানে ভ্রমণকালে সালাহর কোরআন পড়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কোনো জায়গায় যাওয়ার সময় তার হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটির ছবিও। চাউর হয়েছে, অবসর পেলেই কোরআন পড়েন তিনি। সেটি কোনো বিমান ভ্রমণ বা যাতায়াত বা অন্য কাজের ফাঁকেই হোক।
কিছু দিন আগে সালাহ জানান, আমার শরীরে কোনো ট্যাটুর চিহ্ন নেই। আমি কখনও হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন করি না। আমি জানিও না কীভাবে নাচতে হয়। এভাবেই খেলা চালিয়ে যেতে চাই। অবশ্য এসব তথ্য আগেই ফাঁস হয়। তবু সেসব নিয়ে বিশ্ব ফুটবলপাড়ায় আলোচনা এখন তুঙ্গে।
গেল ২৬ মে কিয়েভে ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। শুরু থেকে একের পর আক্রমণে স্প্যানিশ জায়ান্টদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন অলরেডরা। যথারীতি তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সালাহ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে তাকে বাজে ট্যাকল করেন রামোস। এতে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন মিসরীয় কিং।
মোহাম্মদ সালাহ ঘালে একজন মিশরীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি একজন ফরওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় ব্রিটিশ ক্লাব লিভারপুল এবং মিশরীয় জাতীয় দল-এ খেলে থাকেন। সালাহ একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এল মাকোলুন নামক ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন, পরবর্তীতে ২০১২ সালে, তিনি সুইজারল্যান্ড এর বাসেল শহর ভিত্তিক ক্লাব এফসি বাসেল এ স্থানান্তরিত হন, এর পরে, ২০১৭ সালে জনপ্রিয় ক্লাব
লিভারপুল-এ স্থানান্তর হওয়ার আগ পযন্ত তিনি জনপ্রিয় ব্রিটিশ ক্লাব চেলসি, ইটালীয় ক্লাব ফিওরেন্টিনা (ধারে) এবং আরেকটি ইটালীয় ক্লাব রোমা’র হয়ে খেলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ২০১১ সাল থেকে মিশরীয় জাতীয় ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন, তিনি আফ্রিকা অনুর্ধ-২০ কাপ অব নেশনস-এ তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন , এছাড়াও তিনি ২০১১ সালে কলাম্বিয়ায় আয়োজিত ২০১১ ফিফা অনুর্ধ-২০ বিশ্বকাপ-এ ও অংশগ্রহণ করেছেন,
লন্ডন-এ অনুষ্ঠেও ২০১২ সামার অলিম্পিকস, লিবিয়াতে অনুষ্ঠেও সিএএফ কাপ অব নেশনস ২০১৭ অংশগ্রহণ করেছেন, এবং তার দল ফাইনালেও পৌছে যায় তবে ফাইনাল ম্যাচটি আর জেতা হয়নি তাদের, এর পরে তিনি ২০১৮ সালে রাশিয়া’তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮-তে তার জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। অত:পর, তিনি ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফিকেশন(সাফ)-এ সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
তিনি তার ক্লাব বাসেল এর সাথে প্রথম সিজনেই সুইস সুপার লিগ এবং ২০১৪–১৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জয় করেন, এছাড়া চেলসি’র সাথে ২০১৪–১৫ মৌসুমের ফুটবল লিগ কাপ জয় করেন, ২০১২ সালে তাকে বছরের সেরা সাফ সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল আফ্রিকান প্রতিভা’র পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালে, সুইস সুপার লিগে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য, তাকে এসএফপি গোল্ডেন প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড নামক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
২০১৭ সালে, সাফ বছরের সেরা আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে, সাহাহ এর নাম ঘোষণা করা হয়, বিবিসি বছরের সেরা আফ্রিকান ফুটবলার, এছাড়া ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের মাসের সেরা প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড় হিসেবেও তার নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও তিনি বছরের সেরা সাফ দল এবং সাফ আফ্রিকান কাপ অব নেশনস টুর্নামেন্টের সেরা দল-এ নির্বাচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।