নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয়েছে ‘রোহিঙ্গাদের চোখে জীবন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
জাদুঘরের টেম্পোরারি এক্সিবিশন হলের পঞ্চম তলায় আজ (২০ জুন) সকাল ১০টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহায়তায় রোহিঙ্গা আলোকচিত্রীদের তোলা আশ্রয়শিবিরের ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের আলোকচিত্র নিয়ে এ যৌথ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা আলোকচিত্রীদের তোলা ৫০টি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশি শরণার্থীদের ১১টি—মোট ৬১টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রদর্শনী চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে প্রতি রবিবার এবং ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির দিনগুলোতে প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে।
রোহিঙ্গা শিবিরের ২০ জন আলোকচিত্রীর তোলা ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। সেগুলোতে আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার নানা মুহূর্ত উঠে এসেছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাঈনুল কবির।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানবিক কারণে মিয়ানমারের উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জাতিসংঘে আরও জোরালোভাবে উপস্থাপিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।
স্বাগত বক্তব্যে ইউএনএচইসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লা-ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সামিয়া তাবাসসুম, রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী শাহাত জিয়া। সমাপনী বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারা যাকের। সঞ্চালনা করেন ইউএনএইচসিআরএর বহিঃসম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী আয়েশা খানম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।