আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) টিকা, চিকিৎসা, শনাক্ত এবং সরঞ্জামসহ করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় যে অর্থের আবেদন জানিয়েছে, তাতে ঘাটতি এখনও ১ হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এটি মোট প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে জানা যায়, করোনা মোকাবিলায় ধনী ও দরিদ্র দেশের সক্ষমতায় বিস্তর ফারাকের প্রেক্ষাপটে সংস্থা মহাসচিব টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস সতর্ক করে বলেছেন, মহামারি শুরুর ১৮ মাসেরও বেশি সময় পরে এটি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সেস টু কোভিড টুলস এক্সিলেরেটর (এসিটি-এ) কর্মসূচিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এক ব্রিফিংকালে তিনি আরও বলেন, যেসব দেশ টিকাসহ করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যাপকভাবে সংগ্রহ করতে পেরেছে, তারাই বিধিনিষেধ তুলে তাদের সমাজ উন্মুক্ত করে দিতে পারছে।
তিনি বলেন, কিন্তু যারা পারেনি তারা হাসপাতাল আর মৃত্যুর ঢেউ মোকাবিলা করছে।
আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রকল্প এসিটি-এর লক্ষ্য করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি, উন্নয়ন ও বিতরণ করা। ইতিমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে এটি প্রতিশ্রুত অর্থের ১ হাজার ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের শেষনাগাদ বাকি অর্থ প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাকি ১ হাজার ৬৮০ কোটির মধ্যে ৮১০ কোটি বিলিয়ন ভিত্তিতে প্রয়োজন।
এসিটি-এর উদ্যোগেই কোভ্যাক্সের জন্ম, যার লক্ষ্য দরিদ্র দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ করা। টেদ্রোস চাচ্ছেন, সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রত্যেক দেশের ১০ শতাংশ এবং বছরের শেষনাগাদ ৪০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে।
এ প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার তহবিলবিষয়ক যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে টিকা উত্পাদনকারী প্রধান কিছু দেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।