জুমবাংলা ডেস্ক: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে আমি শেষ বারের মতো বলছি ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দেন। নোয়াখালী থেকে হলে একরামুল করিম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীরা প্রভাব বিস্তার করবে। ঢাকায় এনএসআই ও ডিজিএফআই এর চৌকস কর্মকর্তা আছে, তাদের দিয়ে তদন্ত দেন, সে তদন্তে যদি আমার ভাই শাহাদাতের ছেলে তাশিক ও আমিসহ অনুসারীরা অন্যায়কারী প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু এ অত্যাচার আর সইবো না, হয়তোবা পুরো পরিবারকে বিষ খেয়ে জীবন দিতে হবে, এটা ছাড়া বিকল্প পথ নাই। আগে বলেছি আল্লাহর দিকে তাকানো ছাড়া উপায় নাই, এখন বলেছি বিষ খেয়ে জীবন দেওয়া ছাড়া উপায় নাই।’
রবিবার সকালে তার পৌরসভার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বসুরহাট বঙ্গবন্ধুর মুর্যালের সামনে বিষ খেয়ে বুকের ওপর লিখে রাখব সে কথা; তা এখন বলব না। আমি রমজান মাসে লাইভ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করছিলাম কিন্তু বার বার আমার ওপর হামলা হলেও আমি কোন প্রতিকার পাইনি। আমার পরিবারের ওপর অত্যাচারের কোন প্রতিকার পাইনি। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ ও সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন।
বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার স্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) ২০লাখ টাকা দামের শাড়ি পরে, আর আমার গরীব মানুষ ২০০ টাকার জন্য ছেড়া কাপড় পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এটা কি চলতে দেওয়া যায়, এজন্য কী বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন।’
এসময় কোম্পানীগঞ্জের সবাইকে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।