জুমবাংলা ডেস্ক : বিসিএস পরীক্ষার জন্য ওসি ছাড়পত্র না দেওয়ায় পাবনার আতাইকুলা থানার এসআই হাসান আলীকে লাশ হতে হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
চাকরিতে যোগদানের দেড় মাস পর গত রোববার থানা ভবনের ছাদে উঠে নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন হাসান।
সোমবার (২২ মার্চ) ভোরে তার লাশ যশোরের কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে হাসানের লাশ দাফন করা হয়।
পুলিশের দাবি, হাসান আলী আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবার দাবি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাকে ছাড়পত্র দেননি। এ কারণে তাকে লাশ হতে হলো। এজন্য থানার ওসিই দায়ী।
তিনি জানান, যদিও জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হাসানের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আতাইকুলা থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, হাসান বিসিএস পরীক্ষা দেবেন একথা তিনি জানেন না। ছুটি মঞ্জুর হলেও তিনি ছুটিতে যাননি।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জব্বার অনেক কষ্টে ছেলে হাসানকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ে পড়িয়েছেন। দুই বছর আগে হাসান এসআই পদে নিয়োগ পান। তার বাবা জব্বার এখনও রিকশাভ্যান চালান। জব্বার বলেন, ‘ছেলেকে বলেছিলেন সে যেন কোনো অবৈধ টাকা না নেয়। জীবনে কোনো নিরীহ মানুষকে যেন হয়রানি না করে। তার ছেলে সে কথা রেখেছিল।’
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন বলেন, হাসান আলী তার ছাত্র ছিল। তার ব্যবহার ও মেধার কারণে সকলেই স্নেহ করতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।