গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রায় এক যুগ ধরে বিসিবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সুজনের হঠাৎ পদত্যাগের কারণ কী?
২০১৩ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে বিসিবির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। এই সময়ে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ তিনি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
বিসিবি পরিচালকের পদে থাকার সময়ে জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন সুজন। বিভিন্ন সময়ে প্রধান কোচ, অন্তবর্তীকালীন কোচ, সহকারী কোচ, টিম ম্যানেজার, এমনকি টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায়ও দেখা গেছে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে। এসবের জন্য তিনি বিসিবি থেকে সম্মানীও নিয়েছেন।
তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও একাধিক টুর্নামেন্টে কাজ করেছেন তিনি। বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও তিনি ক্লাবের কোচিং করিয়েছেন, এমনকি একই মৌসুমে একাধিক লিগে একাধিক ক্লাবেরও কোচ ছিলেন। বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাকে দেখা গেছে প্রধান কোচের ভূমিকায়। কোচিং করিয়েছেন একাডেমিতেও।
বিসিবির একজন পরিচালক হয়ে জাতীয় দলের সঙ্গে সরাসরি কাজ করা কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করানো স্পষ্টতই স্বার্থের সংঘাত। তবে সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আস্থাভাজন হওয়ায় এতদিন সুজনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি কেউই।
ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছেন, স্বার্থের সংঘাত হয়, এমন কিছুই হতে দেবেন না বোর্ডে। বিসিবির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসায় খানিকটা বিপাকেই পড়েছিলেন সুজন। বোর্ডে থাকতে হলে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে কোচিং ছাড়তে হতো সুজনকে। সেই পথ খোলা রাখতেই বিসিবি ছেড়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।