জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে জনপদে।
প্রবল বর্ষণে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় ৫ থেকে ৭টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছে।
হবিগঞ্জে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীয় মিনহাজ আহমেদ জানান, কুশিয়ারা নদীতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৯৫ মিটার। বিপদ সীমার চেয়ে তা কিছুটা কম হলেও দীঘলবাক ডাইক উপচে জনপদে পানি প্রবেশ করছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আড়াইহাজার বস্তা প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, গতি বেশী হওয়ায় পানি আটকানো সম্ভব হচ্ছে না।
কুশিয়ারা নদী তীরের কামালপুর, চিক্কা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, সুরিখাল ও আমনপুর এ ছয়টি গ্রামের নিচু বাড়িঘর নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পানির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৭০ মিটার এবং শুক্রবার তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৫ মিটারে পৌঁছায়। শুক্রবার রাতেই তা বিপদসীমা ৮ দশমিক ৫৬ মিটার অতিক্রম করতে পারে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে করে ওই নদীর পানিতে বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
দীঘলবাক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকুল মিয়া জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।অনেকের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের শুকনো খাবার মজুদ রাখা এবং উঁচুজায়গাগুলো তৈরি রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও কেউ জলাবদ্ধ থাকলে খাদ্য অথবা ঔষধ সহায়তা প্রয়োজন হলে ৩৩৩- নম্বরে ফোন করলে তা পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।