বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে সম্প্রতি ধরা পড়েছে কয়েকশত বছর আগের একটি সুপারনোভার অভ্যন্তরীণ অংশের বিস্ফোরণের চিত্র। বিস্ফোরণটি দেখতে ছিল সবুজ দানবের মত। মহাকাশে এমন দানব আকৃতির বিস্ফোরণ এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ১১ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এবং প্রায় ৩৪০ বছর আগে ক্যাসিওপিয়া-এ নামক সুপারনোভায় জ্বলন্ত গ্যাস, ধূলিকণা এবং নক্ষত্রের অংশসমূহ মিলিত হয়ে এই বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়েছিল, যা বর্তমান সময়ের টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপটিকে ক্যাসিওপিয়ার দিকে ঘুরিয়ে ইনফ্রারেড আলোসহ অন্য টেলিস্কোপে মিস করে যাওয়া কিছু খুঁজছিলেন। ইনফ্রারেড আলো মানুষের চোখে অদৃশ্য হলেও টেলিস্কোপকে মহাবিশ্বের অদেখা দিকগুলি দেখতে সাহায্য করে।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী টি টেমিম জানান, আগের ইনফ্রারেড চিত্রগুলির তুলনায়, এতে আমরা অবিশ্বাস্য বিস্তৃতি দেখতে পেয়েছি, যেখানে আমরা আগে পৌছাতে পারিনি। ইনফ্রারেড চিত্রটি সম্প্রতি দৃশ্যমান আলোতে রূপান্তর করা হয়েছে যাতে করে আমাদের দৃষ্টিতে এর রং দেখা যায়। ছবিতে বাইরের অংশে লাল ও কমলা আলোর ধূলিকণা দেখা যায় যেখানে বিস্ফোরণের আগে নক্ষত্র থেকে নির্গত উপাদান পার্শ্ববর্তী গ্যাস এবং ধূলিকণার সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
বাইরের বাকি অংশে বুদবুদ সদৃশ কাঠামোর অভ্যন্তরে ক্লাম্প এবং গিঁটের মতো উজ্জ্বল গোলাপী আলো দেখা যায়, এতে আর্গন, নিয়ন এবং অক্সিজেনের মতো উজ্জ্বল ভারী উপাদান রয়েছে।তবে গবেষকদের নজর কেড়েছে এই বুদবুদের ডান পাশে থাকা একটি উজ্জ্বল সবুজ লুপ যা বিশাল সবুজ দানবের মত দেখতে।
এই বিষয়ে গবেষক দল জানিয়েছে, আমরা বোস্টনের ফেনওয়ে পার্কের সম্মানে এটিকে ‘গ্রিন মনস্টার’ নামকরণ করেছি। এর আকৃতি এবং জটিলতা অপ্রত্যাশিত এবং বোঝা চ্যালেঞ্জিং।
তবে গবেষক দলটি এখনও চিত্রের বিভিন্ন রঙের পিছনের উৎসগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।