বিনোদন ডেস্ক : ‘বিসমিল্লা’। এক সাধারণ ছেলের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। ভালোবাসার আখ্যান শোনাবে এই ছবি। অস্তিত্ব নিয়ে সংকট, প্রেম, সাধনা, অনিশ্চয়তা— এ সব কিছুকেই এক সূত্রে গেঁথেছেন পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋদ্ধি সেন। আর বিসমিল্লার ‘ফাতিমা’ হয়ে উঠেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ধর্ম, জাতপাতের ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে এক গল্প বোনা হয়েছে। আর তাতেই শুরু বিতর্ক।
বিসমিল্লার সঙ্গে কেন কৃষ্ণকে মেলানো হয়েছে? ফাতিমাই বা কেন রাধা হয়ে উঠল? কেন এ ভাবে মিলেমিশে গেল ভিন্ন দুই ধর্ম? এমনই অসংখ্য প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ছবির শিল্পীরা। ধেয়ে আসছে কটাক্ষ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে নিজের মন প্রাণ দিয়ে কাজ করেছি। সততা দিয়ে এই ছবি তৈরি করেছি। মানুষের মনকে ছোঁয়ার জন্যই এত চেষ্টা। ছবিটি দেখে যদি দর্শকের ভালো না লাগে, তখন সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু তা না দেখেই নানা মন্তব্য করা হচ্ছে, বয়কটের ডাক উঠছে। সেটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’
বলিউড হোক বা টলিউড— সর্বত্রই শুধু বয়কটের ডাক। পান থেকে চুন খসলেই ছবি না দেখার নিদান। আর এ সব দেখেই ব্যথিত শুভশ্রী। তিনি বললেন, ‘সত্যি বলতে এ রকম পরিবেশে আমরা মানুষ হইনি। আমার ঠাকুমা প্রত্যেক শুক্রবার আমাদের মাজারে নিয়ে যেত ধুপ আর মোমবাতি জ্বালাতে। তখন আমি বর্ধমানের মতো মফস্সলে থাকতাম । আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগের কথা বলছি। আজ এ সব নিয়ে কথা হচ্ছে ভাবতেই পারছি না। এগুলো আলোচনার বিষয় হওয়াই উচিত নয়।’
শুভশ্রীর ‘ধর্মযুদ্ধ’ নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। অভিযোগ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে রাজ চক্রবর্তীর এই ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।