বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হতে ফিরে যেতে হবে না ১৯৭১ সালে। বীর বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের সেই দিনগুলোতে এখন ফিরে যেতে পারেন যে কেউ। প্রায় একযুগ আগে তৈরি করা হয় অরুনোদয়ের অগ্নিশিখা নামে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভিডিও গেমস। তার পর থেকেই দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন নিয়ে গেম নির্মাণ করা হচ্ছে নিয়মিত। মুক্তিযুদ্ধের গেমসের তালিকায় এ বছরের সংযোজন দ্য ভিক্টোরি।
গল্প কথায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নানাভাবে এলেও সরাসরি তা না দেখতে পারার আফসোস আছে এ প্রজন্মের অনেকের হৃদয়েই। প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় সেই আকাঙ্খাকে ভার্চুয়ালি পূরণের চেষ্টা করেছেন ১৩ বছরের বিস্ময় বালক ওয়াসিক ফারহান রূপকথা। তার তৈরি ভিডিও গেম দ্য ভিক্টোরি যেন সেই চেষ্টারই সফল পরিণতি।
বিজয়ের দিনের প্রথম প্রহরেই নিজ নামের স্টুডিও থেকে গেমটি আপলোড করা হয়েছে গুগল প্লে স্টোরে। রূপকথা জানান, দেশের প্রতি ভালবাসা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ গেমটি তৈরি।
ছয় বছর বয়স থেকে বিশ্বজুড়ে বিস্ময়ের জন্ম দেয়া রূপকথা গত নভেম্বরেই অবমুক্ত করেন থার্ড পারসন শ্যুটার গেম রোবো টারিমেনটর। আপাতত উইন্ডোজ ফরম্যাটের কম্পিউটারের জন্য নির্মিত গেমস সব ধরনের ডিভাইসে খেলার উপযোগী করার চেষ্টা চলছে। গুগল প্লে স্টোরে রূপকথার নিজস্ব গেম আছে আরও তিনটি। পরিবারের সমর্থন আর নিজ চেষ্টায় একের পর এক গেম তৈরি করেছ, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এই কম্পিউটার জাদুকরের।
রূপকথার এসব তাক লাগানো কাজের সঙ্গে পরিচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীও। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, রূপকথার মতো প্রতিভার পরিচর্যার পাশাপাশি গেম নির্মাণকে উৎসাহিত করতে কাজ করছে সরকার।
রূপকথা নিজে কখনও স্কুলে না গেলেও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্য ইংলিশ ফর টুডে বইয়ে তার সৃষ্টিশীলতার গল্প পড়ানো হয় ২০১৩ সাল থেকে। সূত্র : চ্যানেল২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।