জুমবাংলা ডেস্ক: বৌভাতের অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে মঙ্গলবার বর-কনেসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর ইউএনবি’র।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর মাজেদুল ইসলাম ও কনে আম্বিয়া খাতুনও অসুস্থ হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত সোমবার পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ধনিপাড়া গাইঘাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মাজেদুল ইসলামের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। দাওয়াত খাওয়ার পর খাদ্যে বিষক্রিয়ায় পাতলা পায়খানা, বমি ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন তারা।
খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন ডা, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত রোগীদের দেখতে যান। এসময় তারা রোগীদের আতংকিত না হতে পরামর্শ দেন।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের গাইঘাটা এলাকার সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে মাজেদুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের কাদেরপুর এলাকার আমিরুল ইসলামের মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। সোমবার মাজেদুলের বাড়িতে ভৌভাতের আয়োজন ছিল। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু ও ছাগলের মাংশ এবং ডাল সবজি দিয়ে গ্রামবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ানো হয়। খাবার খেয়ে যে যার মতো বাড়ি ফিরে যায়। দাওয়াতের পরদিন মঙ্গলবার লোকজনদের পাতলা পায়খানা, পেটের পীড়া ও বমি শুরু হয়।
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বরের পিতা দাওতকারী সেরাজুল ইসলাম (৫০), সাদ্দান হোসেন (২৫), রফিকুল ইসলাম (৫৫), আনোয়ার হোসেন (৪২), মকছেদা খাতুন (২২), বানু বেগম (৪২), জরিনা বেগম(৪৮), রাবেয়া খাতুন (২৫), রিফাত আক্তার (৪), নাইম ইসলাম (১৩), শাহীন (৫), সুলতানা মৌ (৬), নজরুল ইসলাম (২২, মুরাদ (১৪), হাসিবুল (৪০), বিপুল হোসেন (১৭), ফারুক আলম (২২), আব্দুর রউফ (৬৭), আনজুয়ারা (১৬), মফিলা বেগম (৪২), শাকিল (১৫), রহিমা বেগম (৩২) তার ছেলে আব্দুর রহমান (৭), খালেদা আক্তার চম্পা (২০) লোকমান (৫), ওসমান, শাহজাহানসহ অর্ধশতাধিক শিশু, নারী ও পুরুষ।
বরের বাবা সেরাজুল ইসলাম বলেন, সুন্দরভাবে বৌভাতের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে গ্রামের অনেকেরই অসুস্থ হওয়ার খবর পাই। আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাদের পরিবারের লোকজন এবং বর কনেসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে পাতলা পায়খানা, পেটের পীড়া ও বমি হতে পারে। আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন এ ঘটনায় তদন্তের জন্য বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।