বিনোদন ডেস্ক : ছোটবেলাতেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখেছিলেন। ফলে ছোট বয়সেই পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। পরিবারের দায়িত্ব নিতে বদলে যেতে হয় তাকে। একটা সময় পর বিয়ের আগেই মা হতে হয়। অভিনয়-ব্যক্তিত্ব-মানসিকতায় সমসাময়িক অভিনেত্রীদের থেকে অনেকটাই অন্যরকম সারিকা।
কলকাতার অভিনেত্রী সারিকার পুরো নাম সারিকা ঠাকুর। বাবা ছিলেন মরাঠি। মা, হিমাচলি। ১৯৬০ সালে সারিকার জন্ম দিল্লিতে। তিনি যখন খুব ছোট, তার বাবা তাদের ফেলে সংসার ছেড়ে চলে যান।
ফলে সারিকাকে ছোট থেকে অভিনয় শুরু করতে হয়। উপার্জনের চাপে তিনি স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। শিশুশিল্পী হিসেবে সারিকার প্রথম ছবি ‘মঝলি দিদি’। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘মেজদিদি’ অবলম্বনে ছবির পরিচালক ছিলেন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়। মেজদিদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মীনাকুমারী। তাঁর মেয়ে হেমাঙ্গিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সারিকা।
একুশ বছর বয়সে তরুণী সারিকা মায়ের আঁচল থেকে বেরিয়ে একা থাকতে শুরু করেন। এক কাপড়ে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে ধীরে ধীরে থিতু হন একাকী জীবনে। ঠিক করেন, পজেসিভ মাকে ছাড়া একাই এগোবেন ইন্ডাস্ট্রিতে। খুব সহজে বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি সারিকা। কারণ তাঁর চেহারায় ছিল পশ্চিমী প্রভাব। তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন তিনি।
সুপারস্টার কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয় সূত্রে পরিচয় সারিকার। আলাপ থেকে প্রণয়। কমল হাসান আর বাণী গণপতির দাম্পত্যের বয়স তখন এক দশকের কাছাকাছি। সারিকার সঙ্গে লিভ ইন শুরু করে দেন কমল হাসান। তাদের প্রথম সন্তান শ্রুতির জন্ম ১৯৮৬ সালে। তারও দু’বছর পরে কমল হাসান সারিকাকে বিয়ে করেন। তখনও প্রথম স্ত্রী বাণীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি কমলের।
১৯৯১ সালে জন্ম কমল-সারিকার দ্বিতীয় মেয়ে অক্ষরার। দুই মেয়েকে নিয়ে কমল-সারিকার দাম্পত্যকে বলিউডে আদর্শ হিসেবে ধরা হত। কিন্তু সবাইকে হতবাক করে তাঁদের ষোলো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।