লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ে যে কোনও মানুষের জীবনেই একটা বড়সড় সিদ্ধান্ত। তা সে লাভ মেরেজ হোক বা অ্যারেঞ্জড। নতুন সঙ্গীর হাতে হাত রেখে গোটা একটা জীবন কাটানোর আগে নানা ধরনের চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘোরে। বিয়ে মানে তো শুধুই দু’জন মানুষের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন নয়।
নতুন সংসারে মানিয়ে নেওয়া, নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, সঙ্গীর শিক্ষা-সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গেও আবদ্ধ হতে হয়। ভালোবেসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রেমপর্বে নানা প্রশ্নই একে অপরকে করে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকা। কিন্তু সম্বন্ধ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসার ক্ষেত্রে অনেকেই লজ্জায় বা সংকোচে অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যান। নতুন জীবনে পা রাখার আগে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই কিছু কিছু বিষয় পরস্পরের কাছে স্পষ্ট করে নেওয়াটা বেশ জরুরি। সুস্থ ও স্বাভাবিক ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়েই তো গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত। সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে তাই এই প্রশ্নগুলির উত্তর জেনে নেওয়া খুবই দরকার।
আপনি কি সত্যিই বিয়ে করতে চান?
পার্টনারের থেকে এই বিষয়টি অবশ্যই জেনে নিন। সঙ্গী পারিবারিক চাপে পড়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তো? সেক্ষেত্রে কিন্তু পরবর্তীকালে একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দারুণ কঠিন হয়ে পড়ে। সম্পর্কে একজন শুধু বোঝা হয়ে থেকে যেতে পারেন।
সংসারে কার অর্থ ব্যয় করা হবে?
পাত্র ও কনে উভয়ই যদি উপার্জন করেন সেক্ষেত্রে এই প্রশ্নটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার অর্থে সংসার চলবে। আর কার অর্থ ভবিষ্যতের জন্য জমানো হবে, সেই ছবিটা শুরু থেকেই পরিষ্কার থাকলে দাম্পত্যকলহ অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে। এছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের পিছনে কতটা খরচ করতে হবে এবং কে করবেন, তাও আলোচনা করে নিন। এতে আপনাদের জীবনযাপনের একটা পরিষ্কার চিত্র ভেসে উঠবে। মাসের ৩০টা দিন টেনে-টুনে কাটাতে হবে নাকি মাসের ২৫ তারিখেও মাল্টিপ্লেক্সে ছবি দেখার টাকা থাকবে, তাও বুঝতে পারবেন সহজেই।
বিয়ের পর কোথায় থাকবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়াটা উভয়ের পক্ষেই জরুরি। বিশেষ করে দু’জনেই যদি চাকরি করেন, তাহলে তো জানতেই হবে বিয়ের পর কোথায় সেটল হবেন। পাশাপাশি এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে নেওয়া ভাল, যে আপনারা আলাদা থাকবেন নাকি পরিবারের সঙ্গে। আগে থেকে জানা থাকলে বিয়ের পর সেভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন।
বিয়ের কতদিনের মধ্যে সন্তান চান?
এক্ষেত্রে দু’জনের মতামতের সামঞ্জস্য থাকা বেশ জরুরি। দু’জন যদি এক্কেবারে অন্যরকম ভাবেন, তাহলে সমস্যা হতেই পারে। সেই কারণেই আগে-ভাগে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়াই ভাল।
আপনার লাইফস্টাইল নিয়ে পার্টনারের কোনও সমস্যা নেই তো?
আপনি গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি করতে ভালবাসেন। আর আপনার পার্টনার কাকভোরে উঠে যোগ ব্যায়াম করেন। তাহলে? টেনশন কিসের! শুধু জেনে নিন, এসব ক্ষেত্রে একে অন্যের মধ্যে কোনও অসুবিধা রয়েছে কি না। যদি না থাকে, তাহলে পরিস্থিত বুঝে আগের মতোই লাইফস্টাইল ধরে রাখতে পারবেন।
পার্টনারের জন্য নিজেকে কতটা পাল্টাতে হবে?
ধূমপান করেন? মদ্যপান? বিয়ের পর সব কিছু ছেড়ে নিজেকে পুরোপুরি পাল্টে ফেলতে চান না? সে কথা আগেই স্পষ্ট করে দিন পার্টনারকে। পার্টনার কী চান, সেটাও শুনে নিন। তারপরই জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্তটি নেবেন। তাড়াহুড়ো করলেই সমস্যা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।