আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় নববধূর। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগে প্রায়ই স্ত্রী সুষমাকে অমানবিক অত্যাচার করতো তার স্বামী। এমন পরিস্থিতিতেই শুক্রবার (১৮ জুন) ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ঠিক তার পাশেই ছিল ছেলের মরদেহ। বিষয়টি জানাজানি হলেই ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ভারতের পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর নাম সুষমা মালিক (২৫) এবং ছেলে মহাদেব (৭)। সম্পর্কের টানাপোড়নের জের ধরে মেয়েকে ও নাতিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় সুষমার স্বামী পলাতক রয়েছে।
সুষমার পরিবার থেকে অভিযোগ করেছে, প্রায় দিনই তাদের মেয়েকে মারধর করতো তাদের মেয়ের জামাই। শ্বশুরবাড়ির লোকরাও অত্যাচার করতো। তারাই সুষমাকে খুন করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আসলে ঘটনাটি খুন নাকি আত্মঘাতী তা এখনো স্পষ্ট নয়। ছেলেকে হত্যার পর বধূ আত্মহত্যাও করতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর বলা যাবে ঘটনা কী। তবে তাদের মৃত্যুর পর স্বামীর পলাতক হওয়ার কারণে বিষয়টিকে খুনের তত্ত্ব থেকে বাদও দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।